ভারতে এসে একটি ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে। ধর্মশালায় ১২ মার্চ প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে পরবর্তী দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১৫ মার্চ লখনৌ ও ১৮ মার্চ কলকতায়। কিন্তু সেই সময়তেই দেশ জুড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে শুরু করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। প্রথম ঠিক হয় দর্শক শূণ্য স্টেডিয়ামে হবে দুটি ম্যাচ। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় একটিও ম্যাচ খেলাল হয়নি। দিল্লিতে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় কলকাতা থেকে দেশের বিমানে ওঠেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুনঃবুমরার বোলিং অ্যাকশন নকল করছেন রোহিত শর্মার মেয়ে সামাইরা,ভাইরাল ভিডিও
আরও পড়ুনঃঘরবন্দি অবস্থায় পাক্কা শেফের ভূমিকায় ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল
ভারত থেকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই দেশে ফিরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। যে কারণে তাঁদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকলেও তাঁদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সুখবর সকলেরই টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডঃ শুয়েব মাঞ্জরা জানিয়েছেন এই কথা। প্রোটিয়ারা ভারত থেকে দেশে ফেরেন ১৮ মার্চ। বৃহস্পতিবার তাঁদের ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশন শেষ হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে থাকতে হবে আগামী দুই সপ্তাহ। গোটা দেশেই চলছে লকডাউন। মাঞ্জরা ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ‘‘কোনও প্লেয়ারেরই উপসর্গ ছিল না। যাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।''
আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর উদ্দ্যেশ্যে ভিডিও বার্তা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও চলছে লকডাউন। সেদেশেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রয়োজনের। ঘরবন্দি রয়েছেন ক্রিকেটাররা। জুন মাসের আগে কোনও খেলা নেই। জুন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে প্লেয়ারদের ফিট থাকাট খুবই কষ্ট। প্লেয়ারদের ফিট রাখার জন্য সেই ব্যবস্থাও করে ফেলেছে বোর্ড। কিন্তু করোনার জেরে এই মুহূর্তে আঙ্কে রয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।