লালা এবং ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধে হতাশ কামিন্স

  • সদ্য করোনা সংক্রমণের রুখতে লালা এবং ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ 
  • অনেক আগে থেকেই লালা বা ঘামের ব্যবহার করে বলকে চকচকে রাখার রীতি চলে আসছে
  • এখন এই পরিবর্তন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কামিন্সের
  • খেলোয়াড়দের মাঠে নামাতে মরিয়া হয়ে আছে ক্রিকেট বোর্ডগুলিও
     

Reetabrata Deb | Published : May 10, 2020 6:15 PM IST

লালা অথবা ঘাম ব্যবহার করে বল চকচকে না রাখতে দিলে টেস্ট ক্রিকেটের গুণমান অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এই নিয়ম প্রবর্তিত হতে পারে। যদি না কোনও বিকল্প ব্যবস্থার উদ্ভব হয় তাহলে বোলারদের কাজ অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। লালা কিংবা ঘাম ব্যবহার করে বলকে চকচকে রাখার এই প্রথা নতুন হয়, অনেককাল ধরেই তা চলে আসছে। ঐভাবে বলকে চকচকে রেখে হাওয়ায় বলকে নড়াচড়া করিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করে থাকেন ফাস্ট বোলাররা। 

আরও পড়ুনঃভারতীয় ক্রীড়াবিদদের মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ ক্রীড়া মন্ত্রকের

টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের পয়লা নম্বর পেসার প্যাট কামিন্স মনে করেন আচমকা এত বড় একটা পরিবর্তন আসলে তা খেলার গুনমানে, বিশেষ করে বোলারদের ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব আনবে। একজন ফাস্ট বোলার হিসাবে বল কে চকচকে রাখার অধিকারটুকু চান বলে জানিয়েছেন অজি পেসার। টেস্ট ক্রিকেটীয় শিল্পের হত্যা হবে যদি তা নিশ্চিত না করা যায় বলে জানিয়েছেন কামিন্স। বোলাররা এই নিয়মের ফলে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন কামিন্স। 

আরও পড়ুনঃএবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া আফগান ক্রিকেটে, গড়াপেটায় যুক্ত থাকায় নির্বাসিত এক ক্রিকেটার

আরও পড়ুনঃকেন তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন ভিভ রিচার্ডস, জানালেন আক্রম

এর মধ্যেই ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্রিকেট বোর্ড গুলি। ক্রিকেট বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশগুলি। যদিও কামিন্স নিজে মনে করেন যে এত তাড়াতাড়ি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য সবার আগে সেটা জানাতেও ভোলেননি তিনি। সব কিছুর মধ্যেই তিনি চিন্তিত এই নিয়ে যে বল চকচকে রাখার সহজ কোনও উপায় যদি আবিস্কার না করা যায় তবে সাধারণ সুইং থেকে রিভার্স সুইং সবকিছুর থেকেই বঞ্চিত হবেন তারা। সেক্ষেত্রে তারা লড়বেন কিভাবে সেই নিয়ে ভাবিত তিনি।

Share this article
click me!