দেশের অধিনায়ক ছিলেন, বর্তমানে অভাবের তাড়নায় একটি চাকরির জন্য ঘুরছেন দরজায় দরজায়

  • হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা দীনেশ শেন
  • ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন
  • তবে বিশেষভবে সক্ষম ভারতীয় ক্রিকেট দলের
  • বর্তমানে একটি চাকরির জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছেন তিনি
     

Sudip Paul | Published : Jul 27, 2020 12:58 PM IST / Updated: Jul 27 2020, 06:35 PM IST

এই প্রতিবেদন ভারতীয় ক্রিকেটের আর্থিক বৈষম্যের আরও এক জ্বলন্ত উদাহরণ। দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। খেলেছেন বললে হয়তো ভুল হবে, ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন। ঠিক যেমনটা সামলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমএস ধোনি, বিরাট কোহলিরা। কিন্তু ফারাক ধোনি, কোহলিরা বছরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। লকডাউনে ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেও বিরাট কোহলি উপার্জন কোটি টাকা। অপরদিকে তিনি ভারত অধিনায়ক হয়েও দুবেলা খেয়ে-পড়ে থাকার তাগিদে চাকরির জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন অফিসের দরজায় দরজায়। তফাৎ শুধু একটাই তিনি খেলেছেন বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেট। তাই যথার্থ মূল্য পাওয়ার দিক থেকে অক্ষম সে, বা মুল্য দেওয়ার জন্য অক্ষম আমাদের সমাজ।

আরও পড়ুনঃবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ সৌরভের, এবার সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করবে 'মহারাজের' ভাগ্য

হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা দীনেশ শেন। বাড়িতে স্ত্রী, এক বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা।  প্রচন্ড অভাবের সংসার। নুন আনতে পানতা ফোরায় অবস্থা। কিন্তু বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন দীনেশ। বর্তমানে একটি গ্রুপ ডি-র চাকরির জন্য হরিয়ানা সরকারের কাছে আবেদন করে করে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা-র অফিসে গ্রুপ-ডি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই চাকরিটাও হয়নি। যেখানেই চাকরির জন্য গিয়েছেন বলেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। শুনে শুধু বাহবা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। চাকরির জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন অফিসের এ দরজা থেকে ও দরজা ঘুরে বেড়াচ্ছেন দীনেশ। জুতো খয়ে গেলেও, ভাগ্যদেবী এখনও প্রসন্ন হয়নি।

আরও পড়ুনঃঅভিনব সিদ্ধান্ত আইসিসির, শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ

আরও পড়ুনঃআইএসএল খেলতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল, ক্লাবের তরফে চিঠি গেল এফএসডিএলের কাছে

দেশের হয়ে এতগুলি বছর ক্রিকেটে খেলার কোনও দাম পাননি দীনেশ। অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে পাশ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক, রয়েছে আইটিআই ডিগ্রি। ভর্তি হয়েছে গ্র্যাজুয়েশনেও। কিন্তু তারপরও হতাশাই সঙ্গী থেকেছে দীনেশের। বর্তমানে একটা চাকরি না পেলে পরিবারটির বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠেছে।  তার অবস্থার কথা জানিয়ে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন বিসিসিআই থেকে শুরু করে দেশের নামী নামী ক্রিকেটারদের। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর আজও আসেনি। সরকারের খেল যোজনার আওতায় বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটারদের রাখা হয়নি। কেন রাখা হয়নি তার কারণও অজানা দীনেশের।  তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। প্রতিদিন চাকরির জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন। বেলা শেষে ঘরে ফিরে আসছেন একরাশ হতাশাকে সঙ্গী করে। পর দিন নতুন সূর্যের সঙ্গে আবার বেরোচ্ছেন জীবন সংগ্রামে। দীনেশের বিশ্বাস তার জীবনের অন্ধকার কেটে একদিন সূর্য উঠবেই। উঠতেই হবে।

Share this article
click me!