ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে, বিশেষত ৫ দিনের ফরম্যাটের ক্ষেত্রে ওপেনাররা হবেন রক্ষণশীল। তারা নতুন বলের সুইং সামলাবেন দেখেশুনে। তারা চেষ্টা করবেন বোলারদের নিজেদের উইকেট বাঁচিয়ে বোলারদের হাঁপিয়ে দেওয়ার যার সুবিধা নিতে পারেন পরের ব্যাটসম্যানরা। এটাই হলো ওপেনারদের ক্ষেত্রে চলে আসা প্রথাগত মিথ। বিশ্ব ক্রিকেটে ওপেনারের, বিশেষত টেস্টে ওপেন করার ক্ষেত্রে এই নিয়ম ভেঙে দেন বীরেন্দ্র সেওবাগ। খুব সহজ সরল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেলতে নামতেন তিনি। মারার বল পেলে মারো, না পেলে সেই বল ছেড়ে দাও বা আটকাও। এই ধ্যান ধারণা নিয়ে থেকেও যথেষ্ট পরিমাণে সফল হন সেওবাগ। ভারতের হয়ে ওপেনিং করে তিনি ১০৪ ম্যাচে ৮০০০ এরও বেশি রান করেন। তার মধ্যে ৭০০০এর বেশি রান ওপেন করে। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের নতুন সংজ্ঞা লেখেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন খ্যাতনামা পাকিস্তানি স্কোয়াশ খেলোয়াড়
তার এহেন সাফল্য সত্ত্বেও ওয়াসিম আক্রম বাকিদের থেকে সামান্য ভিন্নমত পোষণ করেন। তার মতে বীরেন্দ্র সেওবাগ নেন। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি। ২০০১ সালে প্রথম টেস্ট খেলেন সেওবাগ। ওপেনিং করেন তারও বেশ খানিকটা পরে। কিন্তু ১৯৯৯ সালেই পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে ওপেন করে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের খেলার প্রথাগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে ফেলেছিলেন আফ্রিদি, মনে করেন আক্রম।
আরও পড়ুনঃঘরবন্দি অবস্থায় বুলেট কফি বানানো শেখালেন জন্টি রোডস, বললেন ঠান্ডা জলে স্নানের উপকারিতাও
প্রথমে নির্বাচকরা তার আফ্রিদিকে ভারত সফরের দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তর সাথে একমত হননি। ইমরান খানের মধ্যস্থতায় সেই সমস্যা মেটে। তিনিই ওয়াসিম আক্রমকে পরামর্শ দেন আফ্রিদিকে ওপেনার হিসাবে খেলানোর। চেন্নাইয়ে মাটিতে ১৪১ রান করে তার ওপর করা ভরসার মান রাখেন আফ্রিদি। কিন্তু টেস্টে তার ধারাবাহিকতার অভাব তাকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি। পাকিস্তানের হয়ে ২৭ টি টেস্ট খেলেছেন আফ্রিদি। তার মধ্যে ১৬ টি টেস্টে ওপেনার হিসাবে খেলে ২টি শতরান করেছিলেন তিনি।