এই মন্তব্য করে কী বোঝাতে চেয়েছেন শ্রীলেখা? পুরোটাই রাজনীতির খেলা? যা ক্ষমতায় থাকা দল হামেশাই খেলে থাকে। এ কথাই কি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি?
সিএবি-তে মেদিনীপুর ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি বিধায়ক জুন মালিয়া। সোমবার এ কথা ঘোষণা হতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, খেলার দুনিয়া, অভিনয় জগৎ। এর পরেই মঙ্গলবার তাঁকে ফেসবুকে বিঁধলেন শ্রীলেখা মিত্র। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া খবর ভাগ করে নিয়ে প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেত্রী দ্বর্থ্যক ভাষায় কটাক্ষ করে লেখেন, ‘বলখেলা না বলের খেলা!’ তার পরেই স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা, ‘গব্বো হচ্ছে আমার! আপনার কী হচ্ছে?’ এই মন্তব্য করে কী বোঝাতে চেয়েছেন শ্রীলেখা? পুরোটাই রাজনীতির খেলা? যা ক্ষমতায় থাকা দল হামেশাই খেলে থাকে। এ কথাই কি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল শ্রীলেখার সঙ্গে। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘যা লিখেছি তার বাইরে কিচ্ছু বলব না। আমার ফেসবুক বন্ধুরা বুদ্ধিমান। যা বোঝার ঠিক বুঝে নিয়েছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, পাঠকের দৃষ্টিকোণের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। পোস্টটিকে যে যাঁর মতো ব্যাখ্যা করে নেবেন।
শ্রীলেখার পোস্ট ঘিরে যথারীতি নানা মুনির নানা মত। সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট ভাষায় কিছু না বললেও ফেসবুকে কিন্তু অনুরাগীদের পোস্টের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। জনৈকের মতে, ‘বলস্-এর নানা রকম মানে হয়!’ সঙ্গে সঙ্গে সাফ জবাব শ্রীলেখার, যার যার দৃষ্টিভঙ্গি। কেই সরাসরি অভিনেত্রীকে জানিয়েছেন, ‘এ সব পেতে গেলে কার্নিভাল-এ যেতে হয়। নাগরিক মিছিলে হাঁটলে কি আর এ সব হয়।’ অর্থাৎ, শাসকদলের কোনও অনুষ্ঠানেই নেই শ্রীলেখা। তিনি বাম সমর্থক। তাই নাগরিক মিছিলে হাঁটেন। সম্প্রতি, ক্যাট পরীক্ষার্থীদের ধর্না নিয়ে রাজ্য সরকারের অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার বাম সমর্থক তারকাদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখারও জবাব তৈরি। তাঁর মতে, ‘এ বাবা! আমি এ সবে অংশ নিই না। ক্যামেরার সামনে অভিনয় নিয়ে থাকতে চাই। অত ফিল্ডিং পারি না। চাইও না।’
সোমবার ‘ক্রিয়েট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’-এক ৯১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় শহরের একটি সাত তারা হোটেলে। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব পদ গ্রহণ করেন নতুন বোর্ড সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানেই মেদিনীপুরের জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে জেলাশাসকের প্রতিনিধিত্ব করলেন তারকা বিধায়ক। দায়িত্বগ্রহণের পরে জুনের বক্তব্য, ‘‘শুরুতেই আমায় মনোনীত করার জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলাশাসককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা, এই দায়িত্বও যথাযথ ভাবে পালন করতে পারব। মেদিনীপুরের মহিলাদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করার ইচ্ছে রয়েছে। যেমন, জঙ্গলমহল থেকে প্রতিভাবান মহিলা ক্রিকেটারদের তুলে আনার ওপর জোর দেব। অনেকেই খেলাধুলো নিয়ে দারুণ আগ্রহী। কিন্তু সুযোগ পান না। সবার আগে তাঁদের সাহায্য করার চেষ্টা করব।’’ বাংলার ক্রিকেট সম্বন্ধে তাঁর মত, কলকাতার মেয়ে হওয়ায় রাজ্য ক্রিকেট সম্পর্কে খোঁজখবর তিনিও রাখেন। সৌরভ ও স্নেহাশিষ-সহ সংস্থার বাকি কর্মকর্তাদের অনেকেই তাঁর চেনা। সোমবারের এই বৈঠকে এসে বাকিদের সঙ্গেও তাঁর আলাপ হয়েছে।
আরও পড়ুন-
‘ভালো থেকো কলকাতা 'হাওয়া'য় ভেসে এসেছিলাম’, যাওয়ার আগে মন চঞ্চল ‘চান মাঝি’র?
‘বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ বাংলায় ঝড় তুলল, বাংলাবাসী চুপচাপ দেখল!’, জন্মদিনে আফসোস চিরঞ্জিতের?
বাংলা ছবির 'হাওয়া'বদল! চঞ্চল চৌধুরীকে জবাব দিতেই রানার নতুন ছবি ‘মীরজাফর’?