মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন দেশের তৈরি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তাঁর কন্যা। কিন্তু কোন মেয়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়েছিলেন তা স্পষ্ট করেননি। কারণ তাঁর দুটি কন্যা সন্তান। তিনি শুধু বলেছিলেন তাঁর একটি মেয়ে করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন।
আর এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে। যেখানে দেখা যায় একটি মেয়ে একটি ইনজেকশন নিচ্ছে। অনেক গ্রাহকই দাবি করেন এটি পুতিনের কন্যা। যিনি করোনাভাইরাসের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। নিমেশের মধ্য়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ভিডিওটিতে লাইক ও শেয়ার করতে থাকেন অনেকেই।
কিন্তু মোহভঙ্গ হয় দীর্ঘ সময় পর। কারণ পুতিনের দুটি কন্যার কারও সঙ্গে সেই মহিলার মিল পাওয়া যায়নি। একটি সূত্র জানাচ্ছে এই ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল চলতি বছর ২৬ জুন। কিন্তু রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নথিভুক্ত হয়েছিল গত ১১ই জুলাই। তাই ভিডিওটি কিছুতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হতে পারে না।
১৪ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গগামালিয়া ইনস্টিটিউট যে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছিল বারডেনকা মিলিটারি হাসপাতালেও। এটি সেখানকার ছবি বলেও সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আর সেই প্রতিবেদনে কোথাও উল্লেখ নেই যে এই মহিলা পুতিন কন্যা। অন্যদিকে নেটিজেনরা দাবি করেছেন পুতিনের দুই কন্যা মারিয়া ভোরন্টোসোভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভার সঙ্গে এই মহিলার মুখের কোনও মিল নেই।
পড়াশোনা বেশি করায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না প্রণব, কেন এমন কথা বলেছিলেন মনমোহন ...
প্যাংগং দোপসাং ছাড়তে নারাজ লাল ফৌজরা, সীমান্ত উত্তাপ কমাতে কূটনৈতিক আলোচনার দিকে ভারত ...
রুশ প্রতিষেধক নিয়ে দোলাচলে বিশেষজ্ঞরা, ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০ লক্ষ ডোস তৈরির পরিকল্পনা পুতিনের