নকল দুধ থেকে সাবধান। এক মিনিটেই জেনেন নিন আসল দুধ চেনার উপায়।
দুধ শিশুদের স্বাস্থ্য জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু নকল দুধ থেকে আপনার আদরের সন্তানের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। শুধু শিশু নয় অনেক বাড়িতে ছোটবড় সকালেই নিয়ম করেউ দুধ পান করেন। কিন্তু আসলের জায়গায় যদি নকল দুধ পান করেন তাহলে ছোটের পাশাপাশি বড়দের শরীরেও দেখা দিতে নানান সমস্যা। তাই আপনার জন্য রইল খাঁটি দুধ চিনে নেওয়ার কয়েকটি সজহ উপায়।
দুধে জল কমবেশি সকলে বিক্রেতাই মিশিয়ে থাকেন। তাই সেটা নিয়ে চিন্তার খুব একটা কারণ নেই। কিন্তু আপনি জানেন কি জল ছাড়াও আরও ১০ করম জিনিস মিশিয়ে সিন্থেটিক দুধ তৈরি করা হচ্ছে। তা বহুবার জানিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ট স্ট্যান্ডার্ডস অথারিটি অব ইন্ডিয়া (FASSI)
অনেকেই অভিযোগ করেন জলের মধ্যে দুধের গুড়ো মিশিয়ে নকল দুধ তৈরি করা হয়। তাতে কোনও তৈল থাকনা। কিন্তু দুধে ক্রিমের উপস্থিতি রাখতে তেল, বা শ্যাম্পুর মত ক্ষতিকারণ পদার্থ মেশান হয়। সাদা রং করার জন্য ব্যবহার করা হয় কাপড়কাচার সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার। আর দুধে মিষ্টি মিষ্টি ভাব আনার জন্য মিশিয়ে দেওয়া হয় খানিকটা গ্লুকোজ। আর তাতেই তৈরি নকল দধ। পরিবারের সদস্যদের দেওয়ার আগে আপনি জানতেও পারবেন না আপনি তাদের হাতে কী ক্ষতিকারক খাবার তুলে দিচ্ছেন। সিন্থেটিক দুধ পান করলে ক্যান্সারও হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। নকল দুধ হাড়ের জোরও কমিয়ে দিতে পারে।
গোগরা পোস্টে রণেভঙ্গ দিল চিন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারতের মুকুটে সাফল্যের পালক
বাইডেনের ফোনের প্রতীক্ষা, নিজের দেশেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক ইমরান খান
Hiroshima Day: ফিরে দেখা ভয়ঙ্কর সেই অতীত, পরমাণু বোমার ধ্বংসের ক্ষত বয়ে চলছে হিরোশিমা
কিন্তু বাড়িতে বসেই পরীক্ষা করে জানতে পারবেন আপনি যে দুখ আপনার সন্তানকে খাওয়াচ্ছেন সেটি আসল না নকল?
প্রথম উপায়
কৃত্রিম দুধের স্বাগ তেতো।সেই দুধ হাতে লাগালে সাবানের মত পিচ্ছিল অনুভূতি হয়। এই দুধ গরম করার সময় হলুদ হয়ে যায়।
দ্বিতীয় উপায়
দুধে জল মেশানো রয়েছে কিনা জানতে একটি মসৃণ পৃষ্টি এক ফোঁটা দুধ ফেলে দিন। ফোঁটা দুধটি যদি ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয় আর সাদা রঙ দাগ রেখে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি খাঁটি দুধ। জল মেশানো থাকলে কোনও রঙ থাকবে না এই ফোঁটার আংশে।
তৃতীয় উপায়
দুধের শর্করা পরীক্ষার জন্য দুধের মধ্যে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দিয়ে দিতে হবে। তাতে যদি মিশ্রণটির রং নীল হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে দুধে সমস্যা রয়েছে।
চতুর্থ উপায়
দুধে কাপড়কাচার সাবান মেশানো রয়েছে কিনা জানতে চাইলে একটি সাদা বোতলে ৫-১০ মিলিগ্রাম দুধ ভরে ঝাঁকাতে থাকুন। যদি প্রচুর ফেনা তৈরি হয় তাহলে বুঝতে হবে দুধ ভেজাল।