মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কপার রয়েছে। বলা যেতে পারে এই ডাল পুরোপুরি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
মুগ ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রোগীদের প্রায় প্রতিদিন মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কপার রয়েছে। বলা যেতে পারে এই ডাল পুরোপুরি পুষ্টিগুণে ভরপুর। মুগ ডাল ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই থাকে। এগুলি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডায়াবেটিশ রোগীদের জন্য মুগডাল খুবই উপাকারী। মুগডালে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব কম। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুগ ডাল।
জেনে নিন মুগ ডাল খাওয়ার উপকারিতাঃ
১. ডায়াবেটিশ রোগীদের জন্য উপকারী-
মুগডাল সুগারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই ডালে এমন অনেকগুলি খণিজ রয়েছে যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মুগ ডাল লো গ্লাইসেমিক সূচক খাবার। শরীরে ইনসুলিন, রক্তে শর্করা ও চর্বির পরিমাণে কমাতে সাহায্য করে।
২. হজম শক্তি বাড়ায়
মুগডাল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পরিপাকতন্ত্রণের উন্নতির জন্য উপকারী। মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে।
৩. রক্তে শর্করা মাত্রা
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাসিয়াম, ন্যাগনেসিয়াম । এগুলি সুগারের রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুগ ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। কারণ মুগের ডালে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে অসুস্থতার জন্য যদি নিয়মিত মুগডাল খান তাহলে সিদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার পাবেন। সামান্য বিট নুন দিতে পারে। সচারচর আমরা মুগ ডাল মাছের মাথা বা সবজি দিয়ে রান্না করে থাকে। এতে স্বাদ পেলেও তেমন উপকার পাওয়া যায় না। মশলা দিয়ে ওই ডাল রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। প্রাপ্ত বয়স্করা প্রতি দিন ১০-১৫ গ্রাম মুগ ডাল খেতেই পারে। আর শিশুদের দিন ৫০৭ গ্রাম মুগডাল। শিশুদের নিয়মিত মুগ ডাল দিতেই পারে। চাইলে সপ্তাহে চার দিনও দিতে পারে। তবে একটি শিশুর পাতে রোগ যেন ডাল থাকে সেই খেয়াল অবশ্যই রাখবেন। তবে শিশুদের ডালে অবশ্যই মাখন দিতে পারেন। কাঁচা তেল দিলেও সুস্বাদু হয়। মনে রাখবেন এই ডাল রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এই ডাল ভেজে না খেলে উপকার বেশি পাবেন। আয়ুর্বেদ অনুসারে কাঁচা মুগ ডাল শরীর ঠান্ডা করে।