তরমুজে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে তাই এটি খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং বারবার ক্ষুধা লাগে না। এটি ওজন কমানোর জন্যও ভালো বলে মনে করা হয়। তবে আপনি যদি তরমুজ ফ্রিজে রাখেন এবং ঠাণ্ডা করার পর খান, তাহলে আপনি এর পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবেন না।
গরমে আরাম পেতে অনেকেই প্রায়শই ঠাণ্ডা করে ফল খায় কারণ এই মৌসুমে ঠান্ডা জিনিসের স্বাদ আরও ভাল লাগে, তবে আপনি যদি তরমুজ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন তবে এই ভুল একেবারেই করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজে ঠান্ডা করে রাখা তরমুজ খেলে ক্ষতি হতে পারে।
তরমুজে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে। এটি আপনাকে গ্রীষ্মে হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে, যা আপনার জন্য খুবই উপকারী। তরমুজে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে তাই এটি খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং বারবার ক্ষুধা লাগে না। এটি ওজন কমানোর জন্যও ভালো বলে মনে করা হয়। তবে আপনি যদি তরমুজ ফ্রিজে রাখেন এবং ঠাণ্ডা করার পর খান, তাহলে আপনি এর পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবেন না।
পুষ্টিগুণ কমে যায়
বিশ্বব্যাপী পরিচালিত গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, তরমুজ ঠান্ডা হওয়ার পর খেলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। ২০০৯ সালে 'জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, তরমুজকে ঠাণ্ডা করলে এতে উপস্থিত লাইকোপিন এবং বিটা-ক্যারোটিন উপাদান কমে যায়। ঠাণ্ডা করলে এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েডের মাত্রা ১১ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ তাপমাত্রায়ও আপনি তরমুজ না কেটে কয়েকদিন আরামে রাখতে পারেন, তবে কেটে ফেললে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলুন। ফ্রিজে তরমুজ না রাখার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে, যদি এটি রাখার প্রয়োজন হয় তবে এটি কাটবেন না, এটি পুরো রাখুন এবং খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাপমাত্রা স্বাভাবিক করার পরে এটি কেটে নিন।
ঠান্ডা তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা
রেফ্রিজারেটরে তরমুজ সংরক্ষণ করলে শুধু এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না, এর একটি অসুবিধাও রয়েছে যে খুব ঠান্ডা তরমুজ খেলে আপনার গলা ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে কেটে রাখলে খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
আপনি যদি রাতে তরমুজ কেটে ফ্রিজে রাখেন এবং পরের দিন সকালে খেয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার উপকার হবে না, ক্ষতি হবে। তাই সব সময় তাজা কাটা তরমুজ খান। অন্যদিকে ফ্রিজে রাখলেও খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বের করে রেখে দিন। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেই এটি খান।