জিভে জল আনা হরেক পদে ভাঙা হয় রোজার উপবাস, উত্তর থেকে দক্ষিণ রয়েছে খাবারের বৈচিত্র

 ইফতারের বাকি খাবারগুলিও কিন্তু কম লোভনীয় নয়। ভারতের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে এটি। স্থানীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেই খাবারগুলি তৈরি হয়।

রামজান- একটি পবিত্র মাস। এই সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে কঠোর উপবাস করেন। সেটিকে বলা হয় রোজা। কিন্তু রোজার উপবাস ভাঙার পর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নানান ধরনের জিভে জল আনা খাবার খান। ভারতেও এর অন্যথা হয় না। কিন্তু ভারতে ঐক্যের মধ্যেই বৈচিত্র যাতে। দেশের প্রতিটি প্রান্তের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একই নিময়ে রোজা রাখলেই তাদের খাবারের উপকরণগুলি সম্পূর্ণ আলাদা হয়। 

রোজার উপবাস সাধারণত ভাঙা হয় সরবত আর ফল দিয়ে। তবে ফলের মধ্যেই অবশ্যই থাকতে হবে খেজুর। এটি হজরত মহম্মদের প্রিয় ফল। দ্বিতীয় আরও একটি কারণ রয়েছে। খেজুরের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। এটি ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল। তাছাড়াও এরমধ্যে আয়রন ও খনিজ লবণ থাকে। যা দ্রুত মানুষকে চাঙ্গা করতে পারে। খেজুরে ফাইবারও থাকে প্রচুর পরিমাণে। সারাদিনের উপবাসের পর একটি খেজুর বাড়িয়ে সতেজভাব। 

Latest Videos

যাইহোক ইফতারের বাকি খাবারগুলিও কিন্তু কম লোভনীয় নয়। ভারতের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে এটি। স্থানীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেই খাবারগুলি তৈরি হয়। তবে ইফতারের অধিকাংশ খাবারই কিন্তু আমিষ। সঙ্গে অবশ্যই থাকে নিরামিষ পদ। রমজানের খাবারের তালিকায় চিকেন মটনের একাধিক পদ থাকে। পাশাপাশি থাকে নানা ধরনের ঠান্ডা পানীয়। রাতের নামাজের আগেই নৈশভোজ হয়। 

দক্ষিণাঞ্চল- দক্ষিণ ভারত বিশেষত হায়দরাবাদে রমজানের উপবাস ভাঙা হয় হালিম দিয়ে। তামিলনাড়ু ও কেরলের মুসলিমরা নম্বু কাঞ্জি নামে একধরনের মশলাদার খাবার খান। এটি মাংস শাকসবদি ও পোরিজ গিয়ে রান্না হয়েছে। এটি রান্না করতেও নাকি অনেক সময় লাগে। এটির স্বাদও দারুন। 

উত্তরাঞ্চল-
উত্তর ভারতসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের মুসলিমরা রমজানের উপবাস ভাঙেন রাস্তার তৈরি খাবার দিয়ে। তাঁরা নানা ধরনের চাট রাখেন তাদের খাদ্য তালিকায়। এই এলাকায় ফ্রুট চাট অত্যান্ত জনপ্রিয়। সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে পকোড়া আর সমোসা। একাধিক ভাজা জাতীয় খাবারও তাঁরা খান। 

পূর্বাঞ্চল-
এই এলাকার মানুষ ইফতারের খাবারে অবশ্যই মাছ রাখেন। তবে মাছের রান্না অবশ্যই হয় মোঘলাই স্টাইলে। মাছ রান্নায় মশলার আধিপত্য বেশি থাকে। পাশাপাশি মাংস থাকে। আর থাকে মিষ্টি। কলকাতার একাধিক মুসলিম পবিবার ইফতারের পার্টিতে ফিরনি রসগোল্লা রাখেন। 

পশ্চিমাঞ্চল-
এই এলাকায় খাবারেও চাটের আধিপত্য দেখা যায়। তবে নিরামশ পদ বেশি দেখা যায়। সঙ্গে থাকে নানা ধরনের মিষ্টির পদ। সরবরতের প্রচলন বেশি এই এলাকায়। 

Share this article
click me!

Latest Videos

চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
জঙ্গি গ্রেফতারে কড়া বার্তা মিঠুনের | Mithun Chakraborty #shorts #mithunchakraborty #shortsvideo
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari