কফিনে শুয়েই জীবনের শেষ গোলটা করলেন ১৬ বছরের মৃত ফুটবলার আলেকজান্ডার। জালে বল জড়ানোর পর সতীর্থরা কফিন আলিঙ্গন করেই করলেন গোলের উল্লাস। এইভাবেই প্রয়াত বন্ধুকে বিদায় জানালেন আলেকজান্ডার মার্টিনেজের সতীর্থরা। মেক্সিকোর উদীয়মান ফুটবলার আলেকজান্ডার মার্টিনেজের মৃত্যু হয় পুলসের গুলিতে। পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখত আলেকজান্ডার। ভাল ফুটবল খেলতও সে। সম্প্রতি একটি টুর্রনামেন্টে তার গোলেই জয় পেয়েছিল দল। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে এমন পরিণতি হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। আলেকজান্ডার ও তার বন্ধুদের বন্দুকধারী ভেবে ভুল করে পুলিস। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিসের একটি গুলি সরাসরি আলেকজান্ডারের মাথায় গিয়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুনঃওয়াইড বলে ফ্রি হিট সহ ৬টি নতুন নিয়ম আনার পরিকল্পনা বিগ ব্যাশ লিগের
ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় ঢল নামে মানুষের। কেনও কোনও কিছু না বুঝেই পুলিস গুলি চালালো তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তার সারা শরীর ফুলে ঢেকে দেন সাধারণ মানুষ। আলেকজান্ডারের মা বলেছেন,'আমার ছেলের অল্প বয়স। ও তো আর অপরাধী ছিল না। ছেলের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সব শেষ করে দিল ওরা। কী করে এটাকে পুলিশের ভুল ভেবে ক্ষমা করে দিই।' আলেকজান্ডারের মা এও দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়েছিল। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। আলেকজান্ডারের প্রিয় খেলার মাধ্যমেই তাকে বিদায় জানাল তার বন্ধুরাও।
আরও পড়ুনঃফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল সংস্থার সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুনঃহঠাৎ নিজের অবস্থান থেকে সরে কেনও ধোনির প্রশংসা করলেন গম্ভীর
মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ ক্লাবেহ হয়ে খেলত আলেকজান্ডার। সেখানকার প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগেও খেলেছে সে। ভবিষ্যতে যে ছেলেটা মাঠ কাঁপাত, পুলিসের গুলিতে সকলকে ছেড়ে চলে গেল সে। কিন্তু শেষ বেলাতেও জীবনে শেষ গোলটা করে গেল বছর ১৬-র এই ফুটবলার। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কফিনবন্দি দেহকে রেখেই ফুটবল খেলছেন সতীর্থরা। দুটি পাসের পর কফিনবন্দি দেহ দিয়েই বল ঢুকল গোলপোস্টে। তারপর সকলে মিলে এসে গোলের আনন্দে জড়িয়ে ধরল কফিনটিকে। ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োটি দেখে আবাগের জোয়ারে ভেসেছেন নেটিজেনরা। কেউ ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। এরকম প্রতিক্রিয় মিলল নেট জগতে। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার ও আন্দোলনকারীরা।