প্রথম বছরের আইএসএল। সেই সময়ের অ্যাটলেটিকো দে কলকাতাকে সমর্থন করতে গোটা শহর যুবভারতীর মুখো হত। ফুটবল ফিভার কাকে বলে সেবার দেখেছিলেন এটিকের স্প্যানিশ কোচ অ্যান্তোনিয় লোপেজ হাভাস। দ্বিতীয় বছরের ছবিটাও প্রায় একই রকম ছিল। আইএসএল ছয়ে আবার এটিকের দায়িত্ব নিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু সেই এটিকে ও বর্তমান এটিকের মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। ফুটবল মক্কায় তাঁর দলকে নিয়ে যে তেমন আগ্রহ নেই কারও। এটা যেন কিছুটা অবাক করছে প্রথম আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কোচকে। কিছুদিন আগে কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ হয়েছিল, হাউস ফুল যুবভারতী দেখিয়ে দিয়েছিল কেন কলকাতা ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। কিন্তু সেই আবেগ এটিকে নিয়ে কোথায়?
আরও পড়ুন - নোবেল জয়ী বাঙালি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান জানালো বাংলার দুই প্রধান
শহর জুড়ে এটিকে ফুটবলারদের কাট আউট, হোর্ডিং, ব্যানার। কিন্তু টিকিট বিক্রি হল কতটা? কলকাতা বরং অনেক বেশি ব্যস্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড সভাপতি হওয়া বা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পাওয়া নিয়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তাই এটিকে কোচ বলছেন ভাল ফুটবল খেলে মাঠে লোক টেনে আনতে হবে তাঁদের। কলকাতা ফ্রাঞ্চাইজির কোচ বোধহয় বুঝতেই পেরেছেন, এবার বল পায়ে কোন চমক দেখাতে না পারলে কার্যত ফাঁকা মাঠে খেলতে হবে তাঁর দলকে। তাই ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ থেকেই তিন পয়েন্টে পাখীর চোখ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন - চমকের আড়ালে লুকিয়ে আছে কঠিন বাস্তব, প্রশ্নের অন্ত নেই ভারতীয় ফুটবলে
উল্টো দিকে এটিকে বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই আইএসএলের তাঁদের যাত্রা শুরু করছে নিজামের শহর হায়দরাবাদ এফসি। পুণে থেকে ফ্রাঞ্চাইজির হাত বদল হয়ে এবারের লিগে নামতে চলেছে হায়দরাবাদ এফসি। কলকাতার মাঠে খেলে যাওয়া রবিন সিং, আদিল খানরা রয়েছেন এই দল। একটা সময় হায়দরাবাদ ছিল ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সাপ্লাই লাইন। রহিম সাহেব থেকে বড়ে মিঞাঁ মহম্মদ হাবিব, কলকাতার মাঠে তাঁদের অনেক ভালবাসা উজার করে দিয়েছে। সেই কলকাতাতেই আবার একটি নতুন পথ চলা শুরু করছে হায়দরাবাদ এফসি।
আরও পড়ুন - ফরাসি খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখাছেন সিন্ধু ও সাইনা, শেষ আটে দুই ভারতীয় শাটলার