প্রয়াত হলেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার (Former Footballer) সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। করোনা (Covid Positive) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রাক্তন ফুটবলারের প্রয়াণে শোকবার্তা প্রাক্তন ফুটবলারদের।
প্রায় একমাস মারণ করোনা ভাইরাসর সঙ্গে লড়াই। অবশেষে প্রয়াত হলেন বাংলা তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ২৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসধীন ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। বিগত কয়েক দিন ধরেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল সুরজিৎ সেনগুপ্তের। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। প্রাক্তন তারকা ফুটবলারের প্রয়াণে শোকস্তব ময়দান। শোক প্রকাশ করেছেন সুরজিৎ সেনগুপ্তের সতীর্থ থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রজন্মের ফুটবলাররা।
গৌতম সরকার-
প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার একদা সতীর্থের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। তিনি বলেছেন, সুরজিৎ নেই বিশ্বাস হচ্ছে না। এতবড় শিল্পী ফুটবলার বার বার আমরা দেখতে পাব না। এমন উইং ফুটবলার আর দেখতে পাব বলে মনে হয় না।। খিদিরপুর, ইস্ট, মোহনবাগান, জাতীয় দল অনেক স্মৃতি ওর সঙ্গে। সুরজিতের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। সাংবাদিকতা করেছেন, গান গেয়েছেন। সর্বগুনের অধিকারী ছিল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।
বিদেশ বসু-
শোকস্তব্ধ সুরজিৎ সেনগুপ্তের আরও এক প্রাক্তন সতীর্থ বিদেশ বসু। তিনি জানিয়েছেন। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহিড়ি। এবার সুরজিৎ। বিগত কয়েক দিনে কতজন মানুষকে হারিয়ে ফেললাম আমরা। তারও আগে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। মানুষ হিসেবে অসামান্য ছিল সুরজিৎ। ওর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কীভাবে এটা মেনে নেব ভাবতে পারছি না।
সুব্রত ভট্টাচার্য-
সুরজিৎ সেনগুপ্তের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন সুব্রত ভট্টাচার্যও। সতীর্থের প্রয়াণের খবরে মর্মাহত তিনিও। বলেছেন, ছোট বেলা থেকে আমরা একসঙ্গে খেলে আসছি। বড় হয়েছি একসঙ্গে। এত বড় মাপের ফুটবলার ছিল। অথচ ওর চলনে-বলনে কোনওদিন সেটা প্রকাশ পায়নি। বেশ কয়েক দিন ধরে সঙ্কটজনক ছিল। অবশেষে খারাপ খবরটা চলেই এল। ভাবতেই পারছি না সুরজিৎ আর নেই।
ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়-
ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সব বড় খেলোয়াররা বড় মাপের মানুষ হতে পারে না। সুরজিৎদা বড় মাপের মানুষ ছিলেন। আমাদের কাছে দাদার মতন ছিলেন। ওনার পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। সুরজিৎদার মত ফুটবলার খুব কম আসে। আশা করেছিলাম এই যুদ্ধে জিতবেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
দীপেন্দু বিশ্বাস-
অনেক শুনেছি। উনি শিল্পীর মত খোলেয়ার। ওনার মত ড্রিবলিং, আউট সুইং, ইন সুইং, ফ্রি-কিকি থেকে কর্ণার সব কিছুতেই দক্ষতা খুব কম ফুটবলারের থাকে। মেনে নিতে পারছি না।
মানস ভট্টাচার্য-
শোকস্তব্ধ প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যও। রাজ্য সরকার ও আমর এই কদিন চেষ্টা করেছিলাম ওকে সুস্থ করে তোলার। ওর চলে যাওয়া বাংলার ফুটবলের পক্ষে বিরাট বড় ক্ষতি। এমন ফুটবলার বারবার আসে না।
আরও পড়ুনঃবাংলার ফুটবলে ইন্দ্র পতন, প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত
আরও পড়ুনঃ'তিনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন', সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুনঃস্কুটার থেকে নেমে সুরজিত যেতেন ইস্টবেঙ্গলে, তিনি মোহনবাগানে - ভেঙে পড়লেন প্রসূন
সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়-
একসঙ্গে কোনওদিন খেলিনি। কিন্তু অনেক বড় মাপের ফুটবলার ছিলেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে অটুট বন্ধুত্ব থিল। ওঁর চিকিৎসা নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানেও ছিলাম। ওঁর ফুটবলের ভক্ত ছিলাম। এটা মেনে নেওয়া যায়না।