ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ট্রফি শুরুটা ভাল হল না ভারতের। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। সুনিল ছেত্রী একাই জোড়া গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগের একের পর এক ভুলে তাজিকিস্তান ৪টি গোল করে দেয়।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ট্রফি ধরে রাখার দৌড়টা মোটেই ভাল হল না ভারতের। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগের একের পর এক ভুলে তাজিকিস্তান ৪টি গোল করে দেয়। ফলে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে পরাজিত হতে হল সুনিলদের। আর ম্য়াচের পর ভারতের নয়া কোচ স্টিমাচ বলে দিলেন, দেশে এখনও ভাল মানের ডিফেন্ডার নেই।
এদিন ম্যাচের একেবারে ৪ মিনিটের মাথাতেই প্রথম গোলটি করেছিলেন অধিনায়ক সুনিল ছেত্রী। সাহালের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে তাজিকিস্তান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ছাংতে। কিন্তু বক্সের মধ্যেই তাঁকে টেনে ফেলে দেওয়া হয়। পেনাল্টি পায় ভারত। গোল করতে ভুল করেননি সুনিল।
৪০ মিনিটের মাথায় ফের আরও একটি গোল করে ভারতকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুনিলই। এই ক্ষে্রে ডান প্রান্ত ধরে দারুণভাবে প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিয়ে উঠে এসেছিলেন উদান্ত সিং। বক্সের মধ্যে নিচু করে একটি জোরালো ক্রস বাড়ান। সেই বল ধরে মান্দার আড়াআড়ি বাড়ান অধিনায়কের জন্য। জাতীয় দলের জার্সিতে ৭০তম গোলটি করে যান সুনিল।
সুনিলদের এই দারুণ পারফর্ম্যান্স মূল্য পায়নি দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণের লাগাতার ভুলের জন্য। ৫৬ থেকে ৫৮ মিনিটের মধ্যেই ম্য়াচে সমতা ফিরিয়ে দেয় পার্সিয়ান সিংহরা। প্রথম ক্ষেত্রে একটি গোলমুখি শট বাঁচিয়েছিলেন গোলরক্ষক গুরপ্রীত। কিন্তু ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতের ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয় ক্ষেত্রেও গোল হয় সেই বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে না পারার জন্যই। গোলদুটি করেন যথাকর্মে তুরসুনভ ও বোবোয়েভ।
এরপর ৭০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ২-২। কিন্তু ৭১ থেকে ৭৪ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল করে ফেলে তাজিকরা। প্রথম ক্ষেত্রে রবিমভ গতিতে পরাস্ত করেন ভারতীয় রক্ষণকে। আর শেষ গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা সাহরোম। এশোনি বক্সের মধ্যে একটি চমৎকার লব তুলেছিলেন যার নাগাল পাননি ভারতীয় ডিফেন্ডাররা। প্রায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে গোল করে যান সাহরোম।
বাকি সময়ে ভারত গোল করা দূর আরও গেল খেতে পারত। জেরির জন্য পাঁচ গোলের লজ্জার হাত থেকে বাঁচে ব্লু টাইগার্সরা। একেবারে শেষ লগ্নে সুনিলকে তুলে জবিকে নামানো হয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁর আর কিছু করার ছিল না।
ম্যাচের পর ভারতীয় কোচ স্টিমাচ জানিয়েছেন, প্রথামার্ধে সবকিছুই পরিকল্পনা মাফিক ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মনোসংযোগের অভাব হয়। তার ফলেই মাঠে ফাঁক ফোঁকর তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যার সুয়োগ নিতে পেরেছে তাজিকরা। অভিজ্ঞ দুই রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সন্দেশ ও আনাস এখন ম্য়াচ খেলার মতো তৈরি নন, বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে তাদের উপর তিনি বেশি চাপও দিতে চাননি, কারণ সামনে রয়েছে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ, যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ভারতের হাতে নতুন ভাল ডিফেন্ডারের অভাব রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলাররা দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের বাইরে, আর গত ১২ দিনে তাজিকিস্তান তিনটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে, এই বিষয়টিও দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।