ফুটবল বিশ্বের উদ্বেগ আগেই বাড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস মহামারী। কোভিড ১৯ এর জেরে বিশ্ব জুড়ে বন্ধ সমস্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট। যারফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে ফুটবল খেলীয় দেশগুলি। বিশেষ করে ইউরোপে স্থগিত রয়েছে একের পর এক জনপ্রিয়তা ও ব্যবসায়ীক দিক থেকে শীর্ষে থাকা ফুটবল টুর্নামেন্টগুলি। সেই তালিকায় রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি এ, ফ্রেঞ্চ লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ সহ একাধিক টুর্নামেন্ট। কিন্তু এবার ফুটবল প্রেমী থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্বের রাতের ঘুম কাড়তে চলেছে করোনা ভাইরাস। কারণ মহামারী ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ২০২২-এ কাতারে আয়োজিত ফুটবল বিশ্বকাপে। যেই খবর সামনে আসার পর থেকেই চক্ষু চরকগাছ সকলের।
আরও পড়ুনঃব্যাপক আর্থিক সংকটে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া,৮০ শতাংশ কর্মীকে পাঠানো হচ্ছে ছুটিতে
২০২২ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও হাতে প্রায় ২ বছরের বেশি সময় রয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ২০২২–এর নভেম্বর–ডিসেম্বরে কাতারে। কাতারে এখনও পর্যন্ত সাতজন কোভিড–১৯–এ মারা গিয়েছেন। ৪১০৩ জন আক্রান্ত। তবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে স্টেডিয়াম প্রস্তুতির কাজ থেমে নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে কাতারের দোহায় স্টেডিয়াম তৈরির কাজে নিয়োজিত আরও তিন শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ল। এই নিয়ে মোট আটজন করোনা আক্রান্ত। তাতেও অবশ্য কাজ থেমে নেই। চলছে স্টেডিয়াম প্রস্তুতির কাজ। বুধবার প্রথম এক শ্রমিকের করোনা ধরা পড়ে। গত দু’দিনে সেই সংখ্যা বেড়েছে। এইভাবে কাজ চলতে থাকলে কাতারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে তা একেবারেই স্পষ্ট। তবে করোনার প্রকোপ নিয়ে কার্যত উদাসীন সেই দেশের প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃপরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফাঁকা স্টেডিয়ামে টেনিস খেলতে আপত্তি নেই সানিয়া মির্জার
আরও পড়ুনঃতবলঘি জামাতের বিরুদ্ধে টুইট করে কোনও ভুল করেননি, মনে করেন ববিতা ফোগত
সংগঠকদের তরফে এক বিবৃতি মারফৎ এই খবর জানানো হয়েছে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে যে সাতটি স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ নতুনভাবে বানানো হচ্ছিল, এই ঘটনা তাতে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। তবে সংগঠকরা এরপরেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে না। তবে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তাঁরা। যাঁদের করোনা ধরা পড়েছে তাঁরা আগের মতোই বিনামূল্যে খাবার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। গোটা পরস্থিতির উপর নজর রাখছে ফিফা।