বাঙালি চিরকালীন খাদ্যরসিক। পয়লা বৈশাখ থেকে দুর্গাপুজো পেটপুজো ছাড়া বাঙালির পুজো অর্থহীন। ষষ্ঠী থেকে দশমী নতুন নতুন জামা কাপড়ের সঙ্গে খাবারের তালিকাটা ও আগে থেকে করাটা খুবই প্রয়োজন। দেখে নিই দুর্গাপুজোয় পেটপুজোর তালিকা-
ষষ্ঠী: ফুচকা
পুজোর আমেজ গায়ে লাগে ষষ্ঠী থেকেই। ষষ্ঠীতে থাকে হালকা সাজ হালকা আড্ডা আর সেই সঙ্গে হালকা স্ন্যাক্স। কলকাতাবাসীর পেটপুজোর শুরু ফুচকা ছাড়া একেবারেই বেমানান। তাই ষষ্ঠী রাতে পুজোর শুরু ফুচকা হাতে।
সপ্তমী: এগরোল
সপ্তমীর সন্ধ্যে মানেই এখন আড্ডা ও প্যান্ডেল দর্শন। সন্ধ্যে থেকে রাট চলে ঠাকুর দেখার হিড়িক। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে পেতে তন্ পড়লে কী করবেন ভাবছেন? চিন্তা নেই কলকাতার রাস্তা তো বিখ্যাত স্ট্রিট ফুডের জন্যই। সন্ধ্যে বেলা ঠাকুর দেখা আর সাথে এগ রোল সেই কম্বিনেশন আর কি?
অষ্টমী: বিরিয়ানি
অষ্টমীর সন্ধ্যেটা বাঙালির কাছে একটু বেশিই প্রিয়। অষ্টমী মানেই শাড়ি আর পাঞ্জাবি আর সঙ্গে প্রিয় সঙ্গী। তাই অষ্টমীর ভুড়িভোজটাও একটু অন্যরকম হওয়া খুব দরকার। ঠাকুর দেখে রাতে নিজের প্রিয় রেঁস্তোরা থেকে জমিয়ে বিরিয়ানি হলেই অষ্টমীর প্ল্যানটা একেবারে স্বার্থক।
নবমী: চাইনিস
উৎসব চলছে আর বাঙালি চাইনিজ খাবে না এ আবার হয় না কি? নবমীর রাত মানেই পুজোর শেষ দিন আবার দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা। পরের দিনই মা বিদায় নেবেন। এই দিন ডিনারে চাইনিজ হলে মন্দ হয় না। কলকাতায় তো এখন রকমারি চাইনিজ রেঁস্তোরার ও অভাব নেই। চাইনিজে আবার কারোর পছন্দ নুডলস তো কারো পছন্দ ফ্রাইড রাইস। তবে পছন্দ যাই হোক না কেন নিজের পছন্দের চাইনিজ রেঁস্তোরা থেকে প্রিয় চাইনিজ ফুড দিয়েই হোক নবমী স্পেশ্যাল প্ল্যান।
দশমী: চিকেন কষা/ মটন কষা- পোলাও
দশমী মানেই বিষাদের সুর। এই দিনটা কাটলেই পরের দিন থেকে আবার সেই নিয়মিত ধারাবাহিক জীবনযাপন। আর বাঙালির উৎসব চিকেন বা মটন ছাড়া কেমন করে শেষ হবে? চিকেন প্রিয় হোক বা মটন দশমীররাত শেষ হোক বাঙালি খাবার দিয়েই।
এছাড়া মন্ডপের ভোগ তো রয়েছেই সেইসঙ্গে বেগুনভাজা, পাঁচেমশালি সবজির তরকারি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোয় ভোজনরসিক বাঙালির পেটপুজোতে খামতির কোনো অবকাশ নেই।