দুই বছর ধরে অতিমারির আতঙ্ক। আর তারপরে গিয়ে মিলেছে উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ। যার ফলে জন্মাষ্টমীকে ঘিরে এবার আনন্দে মাতোয়ারা মানুষ। শ্রাবণ মাসের দেশের অন্যতম বড় মহোৎসবের নাম জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মকে উপলক্ষ করে এদিন হিন্দুরা মেতে ওঠে এক মহা মিলন উৎসবে। এই দিনটিকে অতি পবিত্র দিন হিসাবে মানা হয়। মনে করা হয় এই দিনটি বিশ্বের সমস্ত অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করার বাণী দেয়। মধ্যরাতে কংসের কারাগারে জন্ম হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের। তার জন্য মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়ে যায় গোকুলাষ্টমী। সেই সঙ্গে কৃষ্ণ ভক্তরা গান ও ভজন গেয়ে এই ক্ষণটাকে ধর্মনামে জপ করে যায়। প্রার্থনা জানায় সমস্ত অশুভ-র বিনাশে শক্তি জোগাতে। দিনের আলো ফুটলে হয় দহি-হান্ডি আচার। কারণ, গোকুলে বেড়ে ওঠার সময় শ্রীকৃষ্ণ-র মাখন প্রেমের কথা সকলেই জানে। কীভাবে শ্রীকৃষ্ণ গোকুলের গোয়ালিনীদের মাথায় করে নিয়ে যাওয়া মাখনের হাড়ি ভেঙে অথবা লুঠ করে মাখন খেয়ে নিতেন, তা পুরাণ কথার মধ্যে দিয়ে বারবার সামনে এসেছে।