মাত্র সাত বছর বয়সেই সে প্রফেসর
মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে কম বয়সী প্রফেসর সে
সমাধান করতে পারে কঠিন কঠিন অঙ্কের
আর শিড়ায় বইছে বাঙালির হক্ত
বয়স তাঁর মাত্র সাত। শিড়ায় বইছে বাঙালির রক্ত। যে বয়সে অন্য়ান্যরা কার্টুন কিংবা ভিটিও গেমস নিয়ে মেতে থাকে, সে তখন বসে বসে সমাধান করে ফেলে কঠিন কঠিন অঙ্কের। পিএইচডি স্তরের অঙ্ক কিংবা বিজ্ঞানের সমস্যার সমাধান তার কাছে জলভাত। আর সেই কারণেই মানব সভ্যতার ইতিহাসে সে-ই হল সবথেকে কম বয়সী অধ্য়াপক। নাম তার প্রফেসর সুবর্ণ 'আইজ্য়াক' ব্যারি।
এই প্রবাসী বাঙালী শিশুটি থাকে নিউ ইয়র্ক শহরে। খুদে প্রফেসর সুবর্ণর নামের সঙ্গে 'আইজ্যাক' খেতাব জুড়েছে আরেক প্রখ্য়াত পদার্থবিদ তথা গণিতজ্ঞ স্যার আইজ্যাক নিউটনের নাম থেকে। আসলে সুবর্ণর আগে, বিশ্বের ইটিহাসে আইজ্যাক নিউটনই সবথেকে কম বয়সী প্রফেসর ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার ক্ষুরধার বুদ্ধি পরিচয় পেলে অনেকেরই মাথায় আসে অ্যালবার্ট আইনস্টানেকর কথা। তাঁর মতোই সুবর্ণও বুদ্ধিতে তার সমসাময়িকদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। তাই তাকে অনেকে এই যুগের আইনস্টাইনও বলে থাকে।
কীরকম এগিয়ে? মাত্র ৬ মাস বয়সেই সে কথা বলতে শুরু করেছিল। আর ২ বছর বয়স থেকেই গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়নের জটিল সমস্যা সমাধান করা শুরু করেছিল সে। তার বাবা-মা, সুবর্ণর ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া শুরু করে। সেই ভিডিওগুলি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিলষ এরপরই সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টকশো ভয়েস অব অ্যামেরিকায় ডাক পায় সাক্ষাতকারের জন্য। বলাই বাহুল্য সেই হল এই শোতে ডাক পাওয়া কনিষ্ঠতম ব্যক্তি। তারপর ছিল তার স্বীকৃতি পাওয়ার পালা।
আরও পড়ুন - ১৫টি হাতির ৫০০ কিমি'র অবাক যাত্রা - ঘুমিয়ে উঠে আবার কোথায় চলল তারা, দেখুন
আরও পড়ুন -মস্তিষ্ক থেকে বের হল ক্রিকেট বলের মাপের কালো ছত্রাক, তিন ঘন্টার অস্ত্রোপচারে বিরল সাফল্য
আরও পড়ুন - করোনার টিকা নিয়ে শরীর হয়ে গেল 'চুম্বক' - এমনটাও কি হতে পারে, দেখুন
হার্ভার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালে তাকে বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ২০২০ সালে তাকে ওই বিশ্ববিজদ্যালয়ের অধ্য়াপক করা হয়। ভারতের মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়েও ভিসিটিং প্রফেসর হয় সুবর্ণ। এরপর নোবেল জয়ী কৈলাস সত্যার্থী তাকে 'চাইল্ড প্রডিজি' অর্থাৎ, 'বিস্ময় বালক' পুরস্কার দিয়েছিলেন।
গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় দক্ষতা প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে সে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারের নিজেকে যুক্ত করেছে। 'দ্য লাভ' নামে একটি বই-ও সে রচনা করেছে, যার বিষয় হল, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিশ্ব গঠনে এক মুসলিম শিশুর সংগ্রাম। ২০১৬ সালে, তৎকালীন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। বহু বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রখ্যাত অধ্য়াপকেরাও তাকে নিয়মিত চিঠি লেখেন।