গর্ভাবস্থায় (Pregnacy) যে সকল মহিলারা দুশ্চিন্তা করেন, তাদের বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। বলছে গবেষণা।
গর্ভধারণ (Pregnancy) করলে মহিলাদের থাকতে হয় বিশেষ সতর্ক। এই সময়টা প্রতিটি মেয়ের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় সুস্থ থাকতে মেনে চলতে হয়, একাধিক নিয়ম। নানা রকম বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় হবু মায়েদের। কথিত আছে, এই সময় কাটলে, ছিঁড়লে বাচ্চা ঠোঁট কাটা জন্মাবে। কোনও কিছু ভাঙলে বাচ্চা বিকলাঙ্গ জন্মাবে। এই সকল ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মনে করা হয়। তবে জানেন কি, এমন কিছু নিয়ম আছে যা না মানলে সত্যিই গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হয়।
সব সময় গর্ভবতী মহিলাদের (Pregnant Women) একটু বিশেষ যত্নের কথা বলা হয়। প্রেগনেন্সির সময় যেমন সময় মতো ওষুধ খেতে হয়, তেমনই নিয়ম মেনে চলতে হয়। বর্তমানে, অধিকাংশ মেয়েই নানা রকম রোগে আক্রান্ত। তাই সতর্ক না থাকলে বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি, এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় (Pregnacy) যে সকল মহিলারা দুশ্চিন্তা করেন, তাদের বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই সময় অধিকাংশ মেয়েরাই বাচ্চাকে নিয়ে নানা রকম চিন্তা করেন। তাদের নানা রকম অনুভূতি হয়। তাদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ দেখা দেয়। এরই খারাপ প্রভাব পড়ে বাচ্চার ওপর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Cincinnati) পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়। তারা ৩৬৫ জন মহিলার মধ্যে গবেষণা করেন। সেখানে জানা গিয়েছে, গর্ভবস্থায় বাচ্চার শারীরিক বিকাশের সঙ্গে মানসিক বিকাশও ঘটে। এই সময় মায়েরা যদি মানসিক চাপ (Stress), দুশ্চিন্তায় ভোগেন কিংবা যাদের অধিক চিন্তা করার স্বভাব থাকে, সেই সকল বাচ্চারা শারীরিক সমস্যায় (Physical Problems) ভোগেন। তাই গর্ভস্থ অবস্থায় বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে মায়েদের। আপনার কিছু খারপ অভ্যেস বাচ্চার শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: Baby Health : ক্যাভিটির সমস্যা, চকোলেটের বদলে বাচ্চাদের দিন এই খাবারগুলি
গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় যৌন নিপীড়ন (Sexual Assault) গর্ভস্থ বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। গার্হস্থ্য (Domestic Violence) নানান সমস্যা কম-বেশি সকলে ভুক্তভোগী। জানেন কী, এই সমস্যা আপনার বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে। গার্হস্থ্য সমস্যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায় এই মানসিক চাপ বাচ্চার ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন, মেডিটেশন করুন নিয়মিত। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করুন। সুস্থ থাকবেন।