মহিলাদের চিন্তা ক্রমশ বাড়াচ্ছে পিসিওডি, কীভাবে বুঝবেন আপনি আক্রান্ত কীনা

পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ নিয়ে একাধিক মিথ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, পিসিওডি হলে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব।

PCOD হল মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি রোগ, যা পিরিয়ড থেকে গর্ভাবস্থা পর্যন্ত অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এই সমস্যার কারণে পিরিয়ডের সময় রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে, পিরিয়ডের পরও কয়েকদিন ধরে বেশি বা একাধিক স্পট দেখা দেয়। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, PCOD অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ PCO অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামেও পরিচিত। কিন্তু PCOD বেশিরভাগই কথ্যভাষায় ব্যবহৃত হয়।

Latest Videos

এখানে জেনে নিন কী কী উপায়ে PCOD স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে

১. গর্ভধারণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এতে গর্ভাবস্থায় সমস্যা হয়।

২. PCOD আপনার চেহারাকেও প্রভাবিত করে। চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা এবং চর্বি বৃদ্ধির মতো সমস্যা হতে পারে।

৩. হরমোনের মধ্যে সর্বদা উত্থান-পতন থাকতে পারে, যার সবই ঘুম, খিদে এবং স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

৪. রক্তনালীর সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগ হতে পারে। সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্ট। 

৫. জমাট বাঁধার সমস্যা, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা কম রক্তপাত এবং পিরিয়ড নিয়মিত না হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

৬. অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোনও PCOD এর লক্ষণ হতে পারে। এটি একটি পুরুষ হরমোন, যা মহিলাদের শরীরে কম এবং পুরুষদের শরীরে বেশি তৈরি হয়।

৭. ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট পিণ্ড তৈরি হতে পারে। যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।

PCOD কেন হয়?
PCOD বা PCOS হওয়ার অনেক কারণ আছে। কিন্তু যাদের মা বা বড় বোনের এই সমস্যা আছে, তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভারসাম্যহীনতার কারণেও PCOD এর সমস্যা হয়। বিভিন্ন কারণে হরমোন ওঠানামা করতে পারে। যেমন, সঠিক খাদ্যের অভাব। ঘুমানোর সময় এবং ঘুম থেকে ওঠর সময়ের হেরফের, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি।

বর্তমানে প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৪ জন পিসিওডিতে আক্রান্ত। মূলত ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মেয়েদের মধ্যে এই রোগ বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, বাড়তি ওজনই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজের একমাত্র কারণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারি পরামর্শ অত্যন্ত 

বর্তমানে, পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ নিয়ে একাধিক মিথ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, পিসিওডি হলে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব। এই কথা মোটেও ঠিক নয়। প্রতিদিন পিসিওডি আক্রান্ত একাধিক মহিলা মা হচ্ছেন। তবে, এটা সত্য যে এই রোগ আক্রান্ত হওয়ার পর গর্ভধারণ করলে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হয়।

আরও পড়ুন- নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন কলার মধ্যে কোন পোকা হয় না, জেনে নিন এর কারণ

আরও পড়ুন- কোন ধাতব পাত্রে খাবার খেলে পাওয়া যায় কি কি উপকারিতা, জেনে নিন এক নজরে

আরও পড়ুন- এই কাঠ ফাটা গরমে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কত লিটার জল পান করা উচিত, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

চিকিৎসা

সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে PCOD এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার পর গর্ভধারণে কোনো সমস্যা হয় না এবং একই সঙ্গে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাও পুরোপুরি সেরে যায়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি, দেখুন সরাসরি
LIVE: স্যালাইন কাণ্ডে Mamata Banerjee-কে একহাত নিলেন Suvendu Adhikari! দেখুন সরাসরি
Nadia Latest News: দেড় মাস বন্ধ পেনশন! কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ, বিক্ষোভে নামলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা
Rashifal Today: শনিবার ১৮ই জানুয়ারি কেমন কাটবে আজকের এই দিন, জানুন আজকের রাশিফলে
'স্বাস্থ্য দফতরের দায় এড়ানোর জঘন্য অপচেষ্টা', পাল্টা মমতার দিকেই আঙ্গুল জুনিয়র ডাক্তারদের