কোনও হাসপাতালই রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না, জন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন

Published : Jun 09, 2020, 03:35 PM ISTUpdated : Jun 09, 2020, 03:36 PM IST
কোনও হাসপাতালই রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না, জন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন

সংক্ষিপ্ত

হাসপাতাল থেকে রোগীর চিকিত্সা করতে অস্বীকার করেছে করোনার সঙ্কটের সময় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে কোনও হাসপাতালই চিকিত্সা করতে অস্বীকার করতে পারে না স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন

এই করোনার সঙ্কটের সময় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যে হাসপাতাল থেকে রোগীর চিকিত্সা করতে অস্বীকার করেছে। রোগীর চিকিৎসা না করে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রোগী মারা গিয়েছে। তবে আপনি কি জানেন, যে কোনও হাসপাতালই আপনার চিকিত্সা করতে অস্বীকার করতে পারে না। এর ফলে, আপনি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আমাদের স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন।

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা প্রয়োগ করা 'রোগী অধিকারের সনদ' প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য অধিকারের নিয়ম যা জন সাধারণের জেনে রাখা প্রয়োজন।  যাতে ভবিষ্যতে এই সমস্যায় আপনাকে পড়তে না হয়। প্রতিটি রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, বয়স, লিঙ্গ, ভাষাগত বা ভৌগলিক ও সামাজিক উত্স সহ তার অসুস্থতা বা অবস্থার ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য ছাড়াই চিকিত্সা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

রোগীর অধিকার সম্পর্কিত আইনী দলিল-
ভারতে রোগীর অধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন আইনি বিধান রয়েছে। যেমন
১) ভারতীয় সংবিধান-এ্রর আর্টিকেল ২১ (২১ নম্বর ধারা)। 
২) ইন্ডিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল (প্রফেসনাল কনডাক্ট এটিকয়েট অ্যান্ড এথিক্স) রেগুলেশন ২০০২
৩) গ্রাহক সুরক্ষা আইন ১৯৮৬।
৪) ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ১৯৪০।
৫) ক্লিনিকাল এস্ট্যবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ২০১০ ইত্যাদি।

রোগীদের ১৭ টি স্বাস্থ্য অধিকার-

১) আপনি চিকিত্সক বা হাসপাতালের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিতে পারেন। এটি আপনার অধিকার।
২) আপনি আপনার স্বাস্থ্য এবং চিকিত্সার রেকর্ড এবং রিপোর্ট পেতে পারেন।
৩) জরুরী অবস্থায় পুরো বা অগ্রিম প্রদান ব্যতীত হাসপাতাল আপনার চিকিত্সা করতে অস্বীকার করতে পারবে না 
৪) হাসপাতাল অথবা চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখবে এবং সাধারণের সঙ্গে সু ব্যবহার করতে হবে।
৫)  রোগীর বিরুদ্ধে কোনও বৈষম্য থাকতে পারে না।
৬) মান অনুযায়ী আপনার চিকিত্সায় গুণমান এবং সুরক্ষা পাওয়া উচিত।
৭) আপনি অন্যান্য উপলব্ধ চিকিত্সার বিকল্পগুলি নিজেই বেছে নিতে পারেন। 
৮) আপনি দ্বিতীয় মতামত নির্দ্বিধায় নিতে পারবেন।
৯) চিকিত্সার হার এবং সুবিধা সম্পর্কিত স্বচ্ছতা হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের বজায় রাখতে হবে।
১০) আপনি ওষুধ বা পরীক্ষার জন্য আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারবেন।
১১) গুরুতর রোগের চিকিত্সা করার আগে, এর ঝুঁকি, পদ্ধতি এবং পরিণতিগুলি বলার জন্য রোগীর অনুমোদনের প্রয়োজন।
১২) ব্যবসায়ের আগ্রহের বাইরে সঠিকভাবে উল্লেখ করে তবেই রোগী ট্রান্সফার করা উচিত।
১৩) বায়োমেডিক্যাল বা স্বাস্থ্য গবেষণায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আপনার সুরক্ষা পাওয়া উচিত।
১৪) ক্লিনিকাল পরীক্ষায় সঙ্গে জড়িত রোগীদের সুরক্ষা প্রদাণ করা উচিত।
১৫) আর্থিক লেনদেন বা বিলিং ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলির কারণে রোগীর ছুটি অথবা মৃতদেহ হস্তান্তর স্থগিত করতে পারে না হাসপাতাল।
১৬) রোগীর স্বাস্থ্য ও চিকিত্সা সম্পর্কে রোগীকে অথবা তার পরিজনকে সহজ ভাষায় বোঝাতে হবে।
১৭) আপনার অভিযোগ শুনে হাসপাতাল বা চিকিৎসকে তার সমাধান বের করতে হবে।

PREV
click me!

Recommended Stories

এই কয়টি বিশেষ খাবারের গুণে দূর হবে পিরিয়ডসের ব্যথা, রইল সুস্থ থাকার জরুরি টোটকা
হার্ট অ্যাটাকের সময় তিনটি ওষুধ বাঁচাতে পারে আপনার জীবন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত