শরীরকে গরম রাখতে ও সিজনাল ফ্লু যাতে ধারে কাছে যাতে ঘেঁষতে না পারে, তার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অবশ্য তার উপায় রয়েছে আপনার বাড়িতেই। বলা ভালো আপনার হেঁশেলেই।
জাঁকিয়ে ঠান্ডা (Winter) পড়ছে রাজ্যে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার পারদ আরও অনেকটা নামবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। আর এই কনকনে ঠান্ডায় (Winter Season) গরম কম্বলের থেকে বের হতে যেন মনই চায় না। ঘুম থেকে ওঠার পর যেন রাজ্যের ঠান্ডা এসে জড়ো হয় চারপাশে। আর এই ঠান্ডায় গরম চা (Tea) ও কফি যেন মন ভরিয়ে দেয়। সবাই তা খেতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। এতে শরীর কিছুটা হলেও গরম হয়। আর তার সঙ্গে শোয়েটার, টুপি অর্থাৎ ঠান্ডার পোশাক তো রয়েছেই। তা না হলে কখনই হয় না। হবেই বা কেমন করে, কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে তো একমাত্র বাঁচতে সাহায্য করে সেগুলি। কিন্তু, শরীরকে গরম রাখতে ও সিজনাল ফ্লু যাতে ধারে কাছে যাতে ঘেঁষতে না পারে, তার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অবশ্য তার উপায় রয়েছে আপনার বাড়িতেই। বলা ভালো আপনার হেঁশেলেই। কিছু ভেষজ ও খাবার খাওয়া দরকার, যাতে শরীরকে দ্রুত গরম করা যায়। শরীরকে সুস্থ রাখতে এগুলি খুবই প্রয়োজনীয়। তাহলে একঝলকে সেগুলি দেখে নিন...
হলুদ- এটি অন্যতম সেরা মশলা, যা প্রদাহ কমাতে এবং শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে এক গ্লাস দুধে ফুটিয়ে নিন। দেখবেন ঠান্ডা লাগবে না। শরীরও ভালো থাকবে।
আদা- আরেকটি জিনিস যা শক্তি এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আপনি যদি সর্দি এবং কাশিতে ভুগছেন তবে এটি নিরাময়ে দ্রুত সহায়তা করতে পারে। আসলে আদার জুরি মেলা ভার।
মধু- এক গ্লাস দুধে এক চামচ মধু শুধু আপনাকে গরম রাখবে না বরং আপনার সর্দি-কাশিও নিরাময় করতেও সাহায্য করে। মধু যদি সহ্য হয় তাহলে তা যে কোনও কালেই খেতে পারেন। কোনও সমস্যা হয় না। মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ডিম- এগুলি প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং শীতের মরসুমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। ডিমও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সহ্য হলে রোজকার ডায়েটে ডিম রাখতে পারেন।
ওরিগানো- এটি একটি সুপরিচিত ইতালীয় ভেষজ যা প্রায়ই পিৎজাতে ব্যবহৃত হয়। অনেকে পাস্তাতেও এটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি শীতকালীন ঋতুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেষজগুলির মধ্যে একটি কারণ এটির উষ্ণ প্রকৃতি রয়েছে। আপনি এটি আপনার স্যুপ এবং স্ট্যুতে যোগ করতে পারেন। আপনার খাবারের আলাদা মাত্রা যোগ করবে এটি।
তবে শুধুমাত্র খেলেই হবে না তার সঙ্গে নিজের ত্বক ও শরীরের খেয়ালও রাখতে হবে। নিজেকে উষ্ণ রাখতে সঠিক পোশাক পরুন। কারণ ফ্যাশনের জন্য মাথায় টুপি পরতে ইচ্ছে না হলে অন্য ধরনের টুপি বেছে নিতে পারেন। যা আপনার লুকসকে অনন্য করে তুলবে। শুষ্ক এবং সংবেদনশীল ত্বক এড়াতে ঘন ঘন আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করুন। ঠান্ডা জল একেবারেই খাবেন না। বরং খাবার জল হালকা গরম করে নিতে পারেন। গরম জলে স্নান না করাই ভালো। তবে যদি একান্তই না পরেন তাহলে ঠান্ডা কাটিয়ে নিয়ে সেই জল ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। কারণ শীতকালে পেটে গ্যাস খুব বেশি হয়। বেশি করে জল খান। কারণ এই সময় জল খাওয়ার দিকে মন থাকেই না। আর সব কিছুর সঙ্গে ব্যায়াম করতে একেবারেই ভুলবেন না।