আজকের চাহিদা পুরণ করতে ও আগামিকালের জন্য লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট মার্ক -2 এর বিমান উড়ানের জন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ জরুরি। উন্নত বিমানের সঙ্গে পাইলটদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।
ভারতের ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমান ডিজাইন ও বিকাশের লক্ষ্যে হিন্দুস্থান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেড প্রস্তুতি শুরু করেছে। পরবর্তী প্রজন্মের পাইলটদের যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হবে তার ওপরেই জোর দিচ্ছে। আর সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছে HLFT-42 বা হিন্দুস্থান লিড-ইন ফাইটার ট্রেইনার। আসুন জেনেনি কী এই HLFT-42।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার উদ্বোধন করেছেন অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩। সেখানেই এশিয়ানেট নিউজ HLFT-42 এর বিষয় কথা বলেছিল পাইলট হর্ষবর্ধন ঠাকুরের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন আগামী দিনে দক্ষ পাইলট তৈরির জন্য তিনটি প্ল্যাটফর্মে পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেগুলি হল মৌলিক প্রশিক্ষক, মধ্যবর্তী প্রশিক্ষক আর উন্নত প্রশিক্ষক। তবে সবাইকেই উড়ানের প্রাথমিক বিষয়গুলি জানতে হবে। বেসিক প্রশিক্ষক হল- হেলিকপ্টার পাইলট-সহ সবধরনের পাইলটদের জন্য। উন্নত প্রসিক্ষকদের মধ্যেশুধুমাত্র ফাইটার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'আমি যে উন্নত প্রশিক্ষকদের কথা বলছি তারা হল এজেটি বা হক - এইচএল-র আই। কিন্তু এটি ফাইটার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কীভাবে বিমান চালাতে হয় তা শেখান হয়। এটি কখনই সুপারসনিক হয় না। কখনই কোনও ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়তে পারে না। সেন্সর নেই ও কোনও ব়্যাডার নেই , নেই কোনো ইনফ্রারেড অনুসন্ধান ও ট্র্যাক। ' তিনি আরও বলেছেন এজাতীয় উন্নত সিস্টেম না থাকার জন্য আগের প্রজন্মের বিমানে কখনই প্রকৃত যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই ভারতীয় বায়ু সেনাতে মাঝারি ফাইটার প্রশিক্ষণেকর প্রয়োজন রয়েছে।
হ্যাল বা HAL-র মতে HLFT-42 প্রশিক্ষক, যার লক্ষ্য পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের জন্য ফাইটার পাইলটদের পুরোপুরি প্রস্তুত করা। একটি অতি-আধুনিক প্রশিক্ষক স্যুট অন্তর্ভুর্ত করা হয়েছে। যা হাইপার- রিয়েল কম্ব্যাট পরিস্থিতিতে পাইলটদের পুরোপুরি নিরাপদ , মানসম্মত ও দক্ষভাবে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম। উড়ান অবস্থায় সবরকম সিস্টেমের সঙ্গে পাইলটলদের পরিচয় করিয়ে দিতে এটি জরুরি।
অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, আজকের চাহিদা পুরণ করতে ও আগামিকালের জন্য লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট মার্ক -2 এর বিমান উড়ানের জন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ জরুরি। উন্নত বিমানের সঙ্গে পাইলটদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। একজন নেতৃত্ব স্থানীয় ফাইটার প্রশিক্ষক হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতার সঙ্গে পাইলট তৈরি করা। তবে এই সিস্টেম ঠিক কাজ করবে বলেও আশাবাদী তিনি।
সেনা কর্তা জানিয়েছেন, 'এটি এলসিএ এমকে ২, টুইন ইঞ্জিন ডেক ভিত্তিক ফাইটার ও শেষ পর্যন্ত অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের মতে সম্প্রতি অনুমোদিত প্রকল্পগুলির মতই হবে। তাই এটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটিতে একই ধরনের সেন্সর ও অস্ত্র থাকা উচিৎ। স্পষ্টতই সিমুলেটর ও সিমুলেশনগুলি সেই ক্ষমতার হওয়া উচিৎ।'
HLFT-42 এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে টুইন-ইঞ্জিন যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত উচ্চতর গতিশীল কর্মক্ষমতা প্রদান করার ক্ষমতা। এটি একাধিক যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং অনুশীলন অনুশীলনের জন্য স্থির ধৈর্যের বৈশিষ্ট্যও থাকবে।
আরও পড়ুনঃ
আদানি ইস্যুতে কমিটি গঠনে আপত্তি নেই , সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
কাজল-অনুব্রতর বিবাদ মেটাতে বীরভূমের মাঠে নামবেন শতাব্দী রায়? তাঁর কথায় জল্পনা তুঙ্গে