লে এয়ারফিল্ডের গল্প। এই এয়ারস্ট্রিপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সোনম নরবুর গল্পও। সোনম নরবুর, লাদাখের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যিনি ১৯৪৮ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় একটি রানওয়ে তৈরি করেছিলেন।
লে এয়ারফিল্ডের গল্প। এই এয়ারস্ট্রিপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সোনম নরবুর গল্পও। সোনম নরবুর, লাদাখের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যিনি ১৯৪৮ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় একটি রানওয়ে তৈরি করেছিলেন। আর সেই রানওয়েটি ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন যখন মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল তখন থেকেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে একটি লাইফলাইন হয়ে ওঠে।
সালটা ছিল ১৯৪৭। ডিসেম্বরের প্রবল শীতের মধ্যে পাকিস্তানের সাহায্যপ্রাপ্ত আদিবাসীদের একটি দল শ্যাওক ও সিন্ধু উপত্যকায় অগ্রসর হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল লেহ দখল করা। তারপর ধীরে ধীরে সমগ্র লাদাখে আধিপত্য বিস্তার করা। সেই সময় লেহর জনবসতি ছিল অনেক কম। গোটা মালভূমি উপত্যকাটির নিরাপত্তার দায়িত্ব মাত্র ৩৩ জনের একটি স্টেট ফোর্সের ওপর।
গ্যারিসনকে শক্তিশালী করার অন্য কোনও উপায় না থাকায় ২ ডোগরার একটি কোম্পানি ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪৮, এল শ্রীনগর থেকে পায়ে হেঁটে লাদাখের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। বাহিনীর সদস্যরা দুর্গম জোজিলা পাস পার হয়ে লাগাদ পৌঁছায়। সেটাই ছিল সম্ভবত শীতকালে প্রথম সেনা বাহিনীর লাদাখ অভিযান। এই দলের সঙ্গে ছিলেন লাদাখের প্রথম ইঞ্জিনিয়ান সোনম নরবু।
লেহতে এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণের জন্য তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। দলটি ১৬ ফেব্রুয়ারি রওনা দিলেও লাদাখ পৌঁছেছিল ৮ মার্চ। তার ঠিক চার দিন পরেও সোনম নরবুর নেতৃত্বে লাদাখে এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। সিন্দু নদীর পাশে শহরের মধ্যেই তৈরি হয় এই এয়ারস্ট্রিপ। ওই বছরই ৬ এপ্রিলের মধ্যে ২৩৯৯ গজ লম্বাএকটি অস্থায়ী এয়ারস্ট্রিপ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।
কিন্তু আরও মজায় বিষয় হল নরবু পাহাড়ের ওপর এই এয়ারস্ট্রিপটি তৈরি করেছিলেন মাত্র ১০ হাজার ৮৯১ টাকা ব্যায় করে। তিনি ২১০৯ টাকা ট্রেজারিতে জমা দিয়েছিলেন। তারপর ৬ এপ্রিলই তিনি একটি বেতার বার্তা পাঠান যেখানে বিমান পাঠাতে নির্দেশ দেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন এয়ারস্ট্রিপটি কতটা শক্তিশালী।
ইতিহাস তৈরি হয়েছিল যখন এয়ার কমোডর মেহর সিং ১১,০০০ ফুট লে এয়ারফিল্ডে পিস্টন - ইঞ্জিনযুক্ত ডোকাটা অবতরণ করেছিলেন। তাঁর এই দুঃসাহসিক কাজ সেই সময় লাদাখকে পাকিস্তানের দখলের হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল। বলা যেতে পারে তাঁদের সাহায্যেই লাদাখ সেবারের মত রক্ষা পেয়েছিল।
নরবু পরে জম্মু ও কাশ্মীর পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টে কাজে যোগ দেন। পরবর্তীকালে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হয়ে শ্রীনগর লে সড়ক নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অঞ্চিত গুপ্ত কে?
অঞ্চিত গুপ্ত একজন ফিনান্স পেশাদার, বর্তমানে একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একটি সামরিক পরিবার থেকে এসেছেন। ভারতীয় বিমান চলাচলের ইতিহাসে তার গভীর আগ্রহ রয়েছে এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর ইতিহাসে নিয়মিত অবদান রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ
লুই ভুইতোঁর ব্যাগ সরিয়ে ভাইরাল হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া, কিন্তু কী রয়েছে এই বিশেষ ব্র্যান্ডের হাতব্যাগে
একটা চাকরি পেতে হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটলেন ১৫০ জন, উদ্দেশ্য অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করা
পার্থ - অর্পিতার গোপন কথা? বাজেয়াপ্ত দুটি ডায়েরি লেখা হয়েছিল কোড ব্যবহার করে