আবারও বরুণ গান্ধীকে নিয়ে প্রশ্ন করা হল রাহুল গান্ধকে। তিনি জানান বরুণকে আমন্ত্রণ জানাতে তাঁর সমস্যা নেই। কিন্তু বরুণ গান্ধীর আদর্শ তিনি মেনে নিতে পারবেন না।
ভারত জোড়ো যাত্রায় আবারও বরুণ গান্ধী ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। বর্তমানে হিসারপুরে রয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বরুণ গান্ধী যদি যোগ দিতে চান ভারত জোড়ো যাত্রায় তাহলে কি তাঁকে স্বাগত জানাবে কংগ্রেস? এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী স্পষ্টটই জানিয়ে দেয়, তিনি ও তাঁর দল আরএসএস-এর মতাদর্শ মেনে নিতে পারবেন না। তার থেকে শিরোচ্ছেদকেই বেছে নেবেন রাহুল গান্ধী। জানিয়েছে।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অফিসে যাওয়ার চেয়ে শিরোচ্ছেদ করাই বেশি পছন্দ করবেন তিনি । রাহুল গান্ধী আরও বলেন, আরএসএস হল বিজেপির আদর্শ। পাশাপাশি বরুণ গান্ধী নিয়ে প্রশ্নেরও উত্তর দেন, তিনি বলেন, 'বরুণ গান্ধী বিজেপিতে রয়েছেন, তিনি যগি এখানে আসেন তাহলে তাঁর সমস্যা হতে পারে। আমার আদর্শ তাঁর আদর্শের সঙ্গে মেলে না। আমি আরএসএস অফিসে যেতে পারব না। ' এরপরই রাহুল গান্ধী বলেন আরএসএস-এর অফিস যাওয়ার থেকে তিনি তাঁর শিরোচ্ছেদ বেশ পছন্দ করবেব। তিনি বলেন তাঁর পরিবারের একটা মতাদর্শ আর চিন্তাধারা রয়েছে। বরুণ তার থেকে বেরিয়ে একটি অন্য মতাদর্শ গ্রহণ করেছিল, এখনও হয়তো সে সেটাতেই বিশ্বাস করে। সেই মতাদর্শের জন্য নিজেকে প্রস্তুতও করেছিল। কিন্তু সে যেটা পেরেছে তিনি তা করতে পারবেন বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, এই মতাদর্শ নিয়ে বরুণ গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বহু বছর আগেই কথা হয়েছিল। সেই সময় তিনি তাঁকে কি বলেছিলেন তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। রাহুল বলেন, 'আমি তাঁকে বলেছিলাম যে আপনি যদি পড়াশুনা করে থাকেন আর চিন্তাভাবনে করে দেখেন তাহলেই স্পষ্ট করে বুঝতে পারবেন আমাদের পরিবারে কিসের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আপনি তা গ্রহণ করবেন কিনা সেটা একান্তই আপনার বিষয় । আপনি যেটা চাইবেন সেটাই করতে পারবেন।' বরুণ গান্ধী ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় পিলিভিটের জনসভায় বক্তৃতা করার সময় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মন্তব্য করেছিল। যা তার নিজের দল বিজেপিকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল।
কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বরুণ গান্ধীর মা মানেকা মেনকা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেননি। তারপর থেকেই মোদী-অমিত শাহের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মা ও ছেলের। রাহুল গান্ধীর থেকে ১০ বছরের ছোট তাঁর খুড়তোত ভাই বরুণ গান্ধী। তিনি সঞ্জয় গান্ধীর পুত্র। বরুণ একটা সময় বিজেপির সর্বকনিষ্ট সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে দলের কোনও পদেই তাকে রাখা হয়নি। তিনি শুধুমাত্র বিজেপির প্রতীকে জেতা একজন সাংসদ মাত্র। বর্তমানে প্রায়ই মোদী বিরোধী কথা বলতে শোনা যায়। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই দল বদল করতে পারেন বরুণ গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ
প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি, এখনও ডুবছে যোশীমঠ- দেখে নিন ১০টি খবর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আবারও মেঘালয়ে যাচ্ছে মমতা, বুধবার রয়েছে তৃণমূলের জনসভা