সভাপতি নির্বাচন হবে। রাহুল গান্ধীকে হয়তো এখনও রাজি করানো যায়নি। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কারণ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার বসেছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত রয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
সভাপতি নির্বাচন হবে। রাহুল গান্ধীকে হয়তো এখনও রাজি করানো যায়নি। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কারণ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার বসেছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত রয়েছেন সনিয়া গান্ধী। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে রয়েছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত যা আলোচনা হয়েছে তাতে আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। ভোট গণনা হবে ১৯ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
সভাপতি হিসেবে এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন সনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য দোষারোপ করে দিন কয়েক আগেই দল ছেড়েছেন গুলাম নবি আজাদ। তারপরই এই বৈঠক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈঠকে বাকি G-23 দলের সদস্যরাও রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। প্রার্থীরা আগামী ৪ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবে।
এদিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে জনসাধারণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিকে আগামী দিনে আন্দোলন শুরু করবে। ৪ সেপ্টেম্বর 'মেহঙ্গাই পর হাল্লা বোল' কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারিকা থেকে ভারত জোড়ো যাত্রারও সূচনা হবে। এই দুটি কর্মসূচিকে সফল করতে দলের নেতাদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
রাহুল ইস্যুতে কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। যা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে G-23 দলের সদস্যরা। যদিও এখনও পর্যন্ত দলের একটি অংশ চাইছে এই অবস্থায় রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের হাল ধরুক। সনিয়া শারীরিক অসুস্থতার জন্য কংগ্রেসের শীর্ষ পদে থাকতে রাজি নন। তবে এখনও পর্যন্ক দলের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন কোনও নেতা সামনে আসেননি। কিন্তু সকলেই দলের ভরাডুবি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধীও দলের দায়িত্ব নেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। পুর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী তাই কংগ্রেস এবার সভাপতি নির্বাচনের দিকেই হাঁটছে।
এখন নির্বাচিত ব্যক্তিই ২০২৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতি থাকবেন। দ্বিতীয় সমস্যাটি হল যে বিরোধীরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রেইড করাচ্ছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করেন গান্ধীদের প্রতিহত করার জন্য ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাদের মধ্যে একজন যদি নেতৃত্বে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা কঠিন হয়ে পড়ে,” রাজনৈতির বিশ্লেষক কিদওয়াই পিটিআইকে বলেছেন।
ঝাড়খণ্ডে কি শুরু হল 'অপারেশন লোটাস'? ব্যাগ গুছিয়ে রাজ্য ছাড়ছে টিম হেমন্ত সেরেন
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল গুলাম নবি আজাদ, ঘোষণার অপেক্ষায় নতুন দল
চোখের পলকে গুঁড়িয়ে গেল কুতুব মিনারের থেকে লম্বা নয়ডা টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও