আগামী ২-৩ মাস দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, হুঁশিয়ারি এইমস প্রধানের

জাতীয় স্তরের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি 
দাবি ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
লকডাউন আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারেনি
কম লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই

Asianet News Bangla | Published : Jun 7, 2020 7:21 AM IST / Updated: Jun 08 2020, 09:45 AM IST

দিন কয়েক আগেই বিশেষজ্ঞ একদল চিকিৎসক দাবি করেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এবার সেই দাবির উল্টো পথেই হাঁটলেন অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে উন্নিত হয়নি। তবে দিল্লি ও মুম্বইয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লি মুম্বইয়ের  হটস্পটগুলিতে স্থানীয় ভাবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।  দেশের প্রায় দশ থেকে ১২টি শহর রয়েছে ওই তালিকায়। 

চিকিৎসক গুলেরিয়ায় কথায় লকডাউন সফল হয়েছে কিন্তু তা সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতের চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। তাই অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাই তুলনা করা ঠিক নয়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেক কম। 

রবিবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজারেও বেশি মানুষ। দেশে আক্রান্তের সংখ্যাও ২ লক্ষের বেশি। করোনা আক্রান্ত দেশগুলির ক্রম তালিকায় ভারতের স্থান ৫ নম্বরে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গুলেরিয়া জানিয়েছেন, করোনার চূড়া আসতে এখনও বাকি রয়েছে।  আগামী ২-৩ মাস করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া আরও বাড়বে। 

গ্রাফের পর সংবাদ মাধ্যমের ক্লিপিং, লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রকে ক্রমাগত আক্রমণ রাহুলের ...

ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা রয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল হু ...

বিশ্বের ক্রম তালিকায় পঞ্চম স্থানে ভারত, তবে এটাই 'করোনার চূড়া' নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের ...

এদিন তিনি  স্বীকার করে নিয়েছেন দেশে স্বাস্থ্য কর্মীদের একটা বড় অংশই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি গুলেরিয়া আরও বলেছেন আক্রান্তে অধিকাংশ অ-কোভিড এলাকায় কর্মরত। আর সেইসব এলাকার মানুষও তেমনভাবে সচেতন নয় বলেও এই অভিযোগ করেছেন তিনি। 

গুলেরিয়া জানিয়েছেন কম বা মাঝারি লক্ষণযুক্ত করোনা রোগীদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন। তবে তাঁদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন কম লক্ষণযুক্ত রোগীরা নিজে থেকেই সেরে যাচ্ছে। 
 

Share this article
click me!