ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার জেরে সমস্ত ইন্ডিগো উড়ান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্গালুরু থেকে ১ এবং দিল্লি থেকে একটি বিমান বাতিল করেছে এয়ার এশিয়া।
ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে এয়ারএশিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেটের একাধিক উড়ান বাতিল বিশাখাপত্তনমে। ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার জেরে সমস্ত ইন্ডিগো উড়ান ( ২২ টি আসা এবং যাওয়ার ২২ টি উড়ান) বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু থেকে ১ এবং দিল্লি থেকে একটি বিমান বাতিল করেছে এয়ার এশিয়া।
বিশাখাপত্তনম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক কে শ্রীনিবাস রাও বলেছেন, 'সন্ধ্যাকালীন উড়ানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে। ' এয়ার ইন্ডিয়ার এখনও ঘূর্ণীঝড়ের পরিস্থিতিতে উড়ান পরিচালনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কলকাতা-বিশাখপত্তম-কলকাতা উড়ান বাতিল করা হয়েছে। তাার দুপুর ২ টোর মধ্যে হায়দ্রাবাদের উড়ানে কল করবে বলে জানিয়েছেন বিশাখাপত্তনম এয়াপোর্টের পরিচালক কে শ্রীনিবাস রাও।
১০ মে চেন্নাই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের উড়ান বাতিলের কথা জানিয়েছে। বিশাখাপত্তনমের সাইক্লোন ওয়ারর্নিং সেন্টারের কর্তব্যরত অফিসার কুমার জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণীঝড় অশনি পশ্চিম-মধ্য অঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ মধ্য অঞ্চলের উপরে ছিল। এটি বিশাখাপত্তনমের ৩৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে আজ রাত পর্যন্ত আরও উত্তর পশ্চিমে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর এটি পুনরায় ফিরে আসবে।' বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশাখাপত্তনম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক কে শ্রীনিবাস রাও -র মতে, ১০ মে যে ইন্ডিগো খারাপ আবহাওয়ার কারণে, আসা ও যাওয়া ২৩ টি উড়ান বাতিল করেছে। ১০ মে ভাইজ্যাকে খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে, এয়ার এশিয়ার চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। চেন্নাই বিমানবন্দর, জয়পুর, মুম্বই, বিশাখাপত্তনম-সহ একাধিক জায়গায় একের পর এক উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে অশনি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। যার অর্থ এটি এগিয়ে আসতে পারে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। যদিও শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টির ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্মচাপটি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেইউপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বর্ষণ ওই এলাকায়।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার থেকেই ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিন্মচাপটি। তারপর রীতিমত শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে এটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় এসেছেই পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে ইউটার্ন নেবে ঘূর্ণিঝড়টি। পাশাপাশি শক্তিও হারিয়ে ফেলবে।