২০২২ সালে প্রথম তিন মাসের মধ্যেই পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। সেগুলি হল গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব। এই অবস্থায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ওমিক্রনে (Omicrn) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। মহামারির এই ভারতে যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় আগামী বছর প্রথম দিকে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হওয়ার কথা রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে (Poll Bound State) কোভিড-১৯ টিকারণের(Covid 19 Vaccination) গতি যাতে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত টিকা দেওয়া হলে সংক্রমণের ওপর কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেও মনে করছেন নির্বাচন কমিশন।
২০২২ সালে প্রথম তিন মাসের মধ্যেই পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। সেগুলি হল গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব। এই অবস্থায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওমিক্রনও একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ও ভোট প্রচারে আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার একটি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ নির্বাচন কমিশনকে ভোটমুখী প্রতিটি রাজ্যে কী পরিমাণে টিকা দেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্ক অবহিত করেছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় প্রায় ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ৮৫ মণিপুর ও পঞ্জাবে ৮০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। যেসব রাজ্যে টিকাকরণের হার কম সেই সব রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের হার দ্রুত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে উত্তর প্রদেশের করোনাপরিস্থিতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ওই রাজ্য সফর করবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেও যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও কমিশন জানিয়েছে।
ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন এনসিবি, বিএসএফ, আইটিবিপি-র সঙ্গে বৈঠক করছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রীয় সীমান্ত এলাকায় আরও কড়া নজরদারী চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন এনসিবি কর্মকর্তাদের পঞ্জাব ও গোয়ার মত রাজ্যদুটিতে মাদকের প্রভাব পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে যাতে মাদক পাচার না হয় তার দিকেও কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক সমাবেশ করছে। যার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও পঞ্জাব। দুটি রাজ্যের রীতিমত সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলি। জনসভাগুলিতে রীতিমত উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবকটি রাজ্যে কোভিড সতর্কতাকে বুড়ো আঙুল দেখান হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন একাংশ।
Nagaland সফরে ভারতীয় সেনার তদন্তকারী দল, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে ২৯ ডিসেম্বর
পাঁচের বদলে চার কেন, পুরসভা নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের