আটকে পড়া অভিবাসীদের জন্য ট্রেনের দাবি
রাজস্থান, মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবেচনা করে দেখছে
বুধবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র দিয়েছিল। তার জন্য রাজ্যগুলিকে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিক, আটকে পড়া পড়ুয়া আর তার্থ যাত্রীদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিল। পড়য়া ও তার্থী যাত্রীদের বাড়ি ফেরার পথ প্রস্তত হয়েছে। প্রায় অন্ধকারে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিক বিষয়টা। কারণ পড়ুয়া ও তীর্থ যাত্রীদের থেকে তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। রাজস্থান, বিহারসহ একাধিক রাজ্যই অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত সোজাসুজি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেছেন এত দূরের রাস্তা বাসে করে শ্রমিকদের নিয়ে আসার সমস্যা রয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই দাবি বিহারের। উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদীও বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্র প্রথম থেকেই বিশেষ ট্রেনের দাবি জানিয়ে আসছিল। এখনও সেই দাবিতেই অনড় রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তাঁদের রাজ্যে প্রায় ৪ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক রয়েছে। যাদের অধিকাংশই বিহার আর পশ্চিমবঙ্গের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের বাসে করে রাজ্যে ফেরত পাঠন অসম্ভব। অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে অধিকাংশ রাজ্যই কেন্দ্রের কাছে বিশেষ ট্রেনের আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলার পর এবার নতুন রেকর্ড কেরলের, পাশে রয়েছে গুরুগ্রামও ...
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে একাধিক রাজ্যই বিশেষ ট্রেনের দাবি জানিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যগুলির প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করে দেখবে বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে এখনও পর্যন্ত বাসে করেই অভিবাসী শ্রমিক ও পড়ুয়াদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরসহ একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বাস পাঠাতে শুরু করেছে।