পুনের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই প্রয়াণ হয় তাঁর বলে সূত্রের খবর।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ (historian) এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত (Padma Vibhushan awardee) বলওয়ান্ত মোরেশ্বর পুরন্দরের (Balwant Moreshwar Purandare) প্রয়াণ। সোমবার সকালে বাবাসাহেব পুরন্দরে নামে পরিচিত এই প্রবীণ ইতিহাসবিদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুনের একটি হাসপাতালে (Pune hospital) ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই প্রয়াণ হয় তাঁর বলে সূত্রের খবর। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর। মারাঠা যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জীবনীর ওপর বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল।
বাবাসাহেব এক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে শহরের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই হাসপাতালেই তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। ১৪ই নভেম্বর তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তারপর থেকে তিনি অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
১৪ই নভেম্বর, এই ইতিহাসবিদের স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ায় স্থানীয় মিডিয়ার একটি অংশ এবং স্থানীয় সংবাদ পোর্টালগুলির একটি অংশে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যদিও তা ভুয়ো ছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই বছরের শুরুর দিকে, ঐতিহাসিকের নিরানব্বই বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক মহল জুড়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পুরন্দরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন বাবাসাহেবের কাজ অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের উপর ভিত্তি করে বাবাসাহেবের নাটক ‘জনতা রাজা’ দেখতে পুনে গিয়েছিলাম। এমনকি বাবাসাহেব যখন আমেদাবাদে যেতেন তখনও আমি তাঁর অনুষ্ঠানে যোগ দিতাম।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
১৯২২ সালের ২৯শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন পুরন্দরে। সেই ইতিহাসবিদের প্রয়াণের খবরে নিজের শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেন মোদী। তিনি লেখেন, “আমি ব্যথিত। শিবশাহির বাবাসাহেব পুরন্দরের মৃত্যু ইতিহাস ও সংস্কৃতির জগতে একটি বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। তবে আগামী প্রজন্ম ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সাথে আরও সংযুক্ত হবে শুধু তাঁরই কাজের জন্য। তাঁর অন্যান্য কাজগুলিও মনে রাখা হবে।"
মোদী আরও লেখেন “শিবশাহির বাবাসাহেব পুরন্দরে ছিলেন বুদ্ধিমান, জ্ঞানী এবং ভারতীয় ইতিহাসের সমৃদ্ধ জ্ঞান ছিল তাঁর। আমি বছরের পর বছর ধরে তার সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করার সম্মান পেয়েছি। কয়েক মাস আগে, তার শতবর্ষ বর্ষের কর্মসূচিতে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।”