সেনা বাহিনী স্তরের ১৪ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল চিনের দিকে। বৈঠক শেষ হয়েছে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। ভারতের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ সেনগুপ্ত। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জিনজিয়াংএর সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল ইয়াং লিন।
লাদাখ (Ladakh) ইস্যুতে ভারত ও চিনের (India-chaina) মধ্যে কর্পস কমান্ডার (military dialogue ) স্তরের ১৪তম রাউন্ড বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে চুসুল-মোল্ডো মিটিং পয়েন্টে। প্রায় ১৩ ঘণ্টার বৈঠেকের পরেও তেমন কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে দুই দেশ। সেনা বাহিনী সূত্রের খবর খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী বৈঠক হবে।
সেনা বাহিনী স্তরের ১৪ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল চিনের দিকে। বৈঠক শেষ হয়েছে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। ভারতের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ সেনগুপ্ত। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জিনজিয়াংএর সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল ইয়াং লিন। এই বৈঠকে আলোচনার মূখ্য বিষয় ছিল হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং একায়া রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা। সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলগবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধীকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর ডেমচক সেক্টরের জংশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে।
সেনা বাহিনী সূত্রে খবর, কোনও ইতিবাচক ফলাফল ছাড়াই আলোচনা সমাধান হয়েছে। তবে দুই দেশের সেনা বাহিনী পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানের চেষ্টা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতীয় সেনা বাহিনী ও পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা প্রতিটি বিষয় নিয়ে আগামী দিনেও আলোচনা করবে। তবে এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি ২০২০ সালের আগের অবস্থায় গোগরা-হটস্প্রিং, ডোপসাং বাল্জ ফিরে আসবে।
সূত্রের খবর ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব প্যাংগং তসো এলাকায়র শ্রীজাপ কমপ্লেক্সে চিনা সেনা বাহিনী যে ব্রিজ তৈরি করেছে সেই বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। পাশাপাশি আকসাই চিনে ৫৯৭ কিলোমিটার লাদাখ এলএসি বরাবর চিনা সেনাবাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ও তুলেছে বলে সূত্রের খবর।
বর্তমানে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা নতুন সীমান্ত আইন ও তাদের অমীমাংসিত এলএসি-র পাশে দ্রুত সামরিক ও প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশনসহ ৩.৪৮৮ কিলোমিটার লাইনকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় রূপান্ত করেছে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে অরুণাচল ইস্যুতেই ভারত নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে। বলা হয়েছে, বরাবরই অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই চিনের নাম পরিবর্তন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
ISRO Chief S Somnath: মহাকাশ গবেষণার ধারনা বদলে দিতে পারে SSLV,আর কি বললেন ইসরোর নয়া চিফ
পাক সীমান্তে অপেক্ষা করছে প্রায় ৪০০ জঙ্গি, পশ্চিম সীমান্ত নিয়ে কড়া সতর্কতা সেনা প্রধান নারাভানের