লাদাখে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে চিনে যাবেন ডোভাল, চিনা বিদেশমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ

চিনের বিদেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছেছেন। গত দুবছর ধরে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারত ও চিনের মধ্যে অস্থিরতার বর্তমান রয়েছে। এই অবস্থায় ওয়াংই প্রথম চিনা মন্ত্রী যিনি ভারত সফর করলেন। এদিন সকাল ১০টায় ডোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক শুরু হয়। 

Saborni Mitra | Published : Mar 25, 2022 9:44 AM IST

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Nsa Ajit Doval) ও ভারত সফররত চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi) শুক্রবার লাদাখের (Ladakh) অচলাবস্থা কাটাতে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি  ইউক্রেন সংকট (Ukraine Crisis) নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং এদিনই অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। অন্যদিকে ডোভালতে চিন সফরের আমন্ত্রণও জানান হয়েছে। 

চিনের বিদেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছেছেন। গত দুবছর ধরে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারত ও চিনের মধ্যে অস্থিরতার বর্তমান রয়েছে। এই অবস্থায় ওয়াংই প্রথম চিনা মন্ত্রী যিনি ভারত সফর করলেন। এদিন সকাল ১০টায় ডোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক শুরু হয়। আলোচনার মূল উদ্দেশ্যই ছিল পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় শান্তি স্থাপন করা। সূত্রের খবর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অজিত ডোভাল লাদাখের বাকি এলাকায় দ্রুত সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ডোভাল বলেন শাস্তি ও প্রশান্তি ফিরিয়ে আনা ও পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য লাদাখের বাকি এলাকা থেকে দ্রুত সেনা সরিয়ে নেওয়া জরুরি। সীমান্তে দুই দেশেরই সুসম্পর্ক বজায় রাখার জরুরি বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

ডোভাল ওয়াংকে নিশ্চত করতে বলেছেন যে চিনের পদক্ষেপগুলি যেন কোনওভাবে পারস্পরিক নিরাপত্তার  ও বিশ্বাসকে না ভেঙে দেয়। ঘণ্টাখানেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। তাতেই ডোভাল দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির ওপরেও জোর দিয়েছেন। 

সূত্রের খবর অন্যদিকে ভারত-চিন সীমান্ত রেজুলেশন কাজ করার বিশেষ প্রতিনিধিদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকেও চিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওয়াং। তাই উত্তরে ডোভাল জানিয়েছেন দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে প্রয়োজন হলে তিনি দ্রুত চিন সফরে যাবেন। সূত্রের খবর ডোভালের সঙ্গে এই বৈঠকে লাদাখের বাকি এলাকার থেকে সেনা সরানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে দুই দেশ কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে - যোগাযোগ আব্যাহত রাখবে বলেও আলোচনায় ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। 

গত দু বছর ধরে অস্থিতরা চলছে লাদাখে। সেখানে বেশ কিছু এলাকায়  এখনও চিনা ও ভারতীয় সেনা মুখোমুখি অবস্থান করেছে। চিন আবার কিছু এলাকায় নতুন করে অবকাঠামো তৈরি করেছে। যা নিয়ে আগেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারত। 

সাবধান, ভুলেও এই অ্যাপটি ব্যবহার করবেন না, রাশিয়ান সার্ভার হাতিয়ে নেবে আপনার গোপন তথ্য

বাগটুইয়ের বিড়ম্বনার মধ্যেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াল ইডি, আবার তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

সাবধান শুক্রবার ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না, তাহলে বিপদে পড়বেন আপনি

Share this article
click me!