গরুকে ঈশ্বর রূপে পুজো করেন কত জন, ধর্মীয় ভারতের অজানা তথ্য Pew-র সমীক্ষায়

  • ভারতের ধর্ম আর জাতীয়তাবাদ নিয়ে সমীক্ষা 
  • মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমীক্ষা 
  • ধর্মীয় ভারতের ছবি উঠে এসেছে
  • অধিকাংশের মতেই ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে 
     

ভারতীয়রা ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছেন। ধর্মীয় স্বাধীনতায় কোনও হস্তক্ষেপ নেই। প্রতিটি ধর্মের প্রতি দেশের সকল নাগরিকের শ্রদ্ধা ভারতকে  ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে । এমনই ছবি ধরা পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের (Pew Research Center) সমীক্ষায়। 

Digital India: ৬ বছরের যাত্রাপথ, চড়াই উতরাই পেরিয়ে কৈশরে পা দিতে চলেছে ভারত

Latest Videos

কোভিড মহামারির আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। সমীক্ষা চলেছিল ২০২০ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে। প্রায় ২৯ হাজার ৯৯৯ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পিউ এর সমীক্ষা ভারতীয় সমাজে ধর্মীয় পরিচয়, জাতীয়তাবাদ আর সহনশীলতার ওপর নজর রাখতেই করা হয়েছিল।  সমীক্ষা রিপোর্ট বলা হয়েছে, দেশের ছটি বড় ধর্মীয় গোষ্ঠী- হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ বিশ্বাস করেন তাঁরা নিজেদের মত করেই ধর্মীয় উপাচার পালন করতে পারেন। ধর্ম কখনই কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। অধিকাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন তাঁদের জীবনে ধর্ম যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। 

ইউরোপের ৯ দেশের মান্যতা ভারতের করোনাটিকাকে, বিজ্ঞপ্তি জারি এস্তোনিয়ার

বেশিরভাগ ভারতীয় বলেছেন তাঁরা ঈশ্বরের প্রতি ৯৭ শতাংশ আস্থাশীল। ৮০ শতাংশ ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষই মনে করেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে কিছুটা অন্য কথা বলেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। একতৃতীয়াংশ বৌদ্ধ বলেছেন তাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখেন না। কারণ ধর্মের প্রতি বিশ্বাসই শিক্ষার মূল বিষয় নয়। 
 
সমীক্ষায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করেন। তাঁরা গরুকে শ্রদ্ধাও করেন। ভারতের প্রায় তিন চতুর্থাংশ হিন্দু (৭২ শতাংশ) জানিয়েছেন তাঁরা মনে করেন কোনও মানুষ যদি গোমাংস খায় তাহলে সেই ব্যক্তি আর হিন্দু হিসেবে পরিগণিত হবেন না। তবে এজাতীয় গোঁড়া হিন্দুদেরও ছাপিয়ে গেছে আরও একটি দল। যাঁদের ৪৯ শতাংশই মনে করেন ঈশ্বরে বিশ্বাস না রাখতে হিন্দু হওয়া যায় না। আর ৪৮ শতাংশ মনে করেন মন্দিরেই ঈশ্বরের স্থান। তাই সেখানে না গেলেও নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করা যায় না। 

মুসলিমরা ধর্মীয় আদালতকে প্রাধান্য দেয়- এমনই ছবি উঠে এসেছে মার্কিন সমীক্ষায়। বলা হয়েছে ৭৪ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই পরিবার, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য নিজস্ব ধর্মীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়। ১৯৩৭ সাল থেকেই দার-উল-কাজা নামে পরিচিত  সরকার স্বীকৃত ইসলামিক আদালত এজাতীয় মামলা গুলি সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে এই ধর্মীয় আদালতের সিদ্ধান্তে সরকারি শিলমহর থাকে না। 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury