বরুণ গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনাকে কটাক্ষ করেন। বৃহস্পতিবার বরুণ গান্ধী টুইটারে বার্তা দিয়ে কঙ্গনার উদ্দেশ্যে বলেন 'তাঁর ধারনাটিকে পাগলামি বা রাষ্ট্রদ্রোহ বলা যেতে পারে।'
পদ্মশ্রী সম্মান (Padma Sri) পাওয়ার পর আরও বিস্ফোরক রূপেই ধরা দিয়েছেন বলি-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। কিন্তু এবার সেই কঙ্গনা রানাউতেই এক হাত নিলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ বরুণ গান্ধী (BJP MP Varun Gandhi)। কঙ্গনা বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম সমর্থক হলেও এবার ছেড়ে কথা বললেন না বরুণ। কঙ্গনার ' ২০১৪ সালের পরে দেশ আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ' এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই বরুণ গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনাকে কটাক্ষ করেন। বৃহস্পতিবার বরুণ গান্ধী টুইটারে বার্তা দিয়ে কঙ্গনার উদ্দেশ্যে বলেন 'তাঁর ধারনাটিকে পাগলামি বা রাষ্ট্রদ্রোহ বলা যেতে পারে।' সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা যে অনুষ্ঠানে এই বিতর্কত মন্তব্য করেছেন তারও ক্লিপ শেয়ার করেছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যালেনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কঙ্গনা রানাউত বলেছিলেন, 'দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালে।' এখানেই থেকে থাকেননি অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত যা অর্জন করেছিল তা ছিল 'ভিক্ষা'। কঙ্গনার কথায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিল্লিতে সরকার গঠনের পরই দেশ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন হয়েছে।
Elephant Attack: হাতির তাণ্ডবে নষ্ট জমির ধান, বনদফতরের কর্মীদের কাজে বাধা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের
কঙ্গনার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বরুণ গান্ধী। হিন্দিতে টুইট করে তিনি বলেন, কখনও তারা মহাত্মা গান্ধীর আত্মত্যাগ, ধর্মপরায়ণতাকে আপমান করে। প্রায়ই তারা গান্ধীর হত্যাকারীকে সম্মান করে। এখন মঙ্গল পাণ্ডে, রানি লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও তাদের আত্মত্যাগের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে। লক্ষ লক্ষ মুক্তি যোদ্ধাকেও অসম্মান করা হয়েছে। তারপরই তিনি বলেন এটি পাগলামি নাকি দেশদ্রোহিতা- কী বলব? এমনটাই জানতে চেয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে কঙ্গনা জানিয়েছেন আপাতত রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। তবে তিনি একজন শিল্পী, সচেতনভাবেই ভারতের জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে কথা বলতে চান। সাভারকার ইস্যুতেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন বিষয়টি নিয়ে তিনি পড়াশুনা করেছেন। এটি নিয়ে একটি ছবিএ তৈরি করছি। তিনি বলেন ব্রিটিশরা গণতান্ত্রিক উপায়ে ভারত দখল করেনি। জোর করেই এই দেশ দখল করেছিল। সেই কারণে কিছু যুদ্ধ হয়েছিল। তারপরের ইতিহাস ছিল অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক। ইহুদিদের ইতিহাসের থেকেই খারপ। কথা প্রসঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগ ও বাংলার দুর্ভিক্ষের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন , কোনও মানুষই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন। ব্রিটিশরা কংগ্রেসের মাধ্যমেই পরবর্তীকালে এই দেশে শক্তি বাড়িয়েছিল।
Chennai Rain: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুতে মৃত ১৪, চেন্নাই বিমান বন্দর থেকে বন্ধ উড়ান
যাইহোক, বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও সম্প্রতি একের পর এক মন্তব্য নিশানা করে যাচ্ছেন বিজেপিকে। কখনও লাখিমপুর খেরি তিনি বিজেপির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন। কখনও আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে অত্বস্তি বাড়িয়েছেন গেরুয়া শিবিরের। সম্প্রতি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বরুণ গান্ধী ও তাঁর মানেকা গান্ধীকে। কিন্তু তারপরই যে বরুণ গান্ধীকে রাশ পরোনো গেল না তা আবারও প্রমাণ করলেন সঞ্জয় গান্ধীর পুত্র।