মেঘালয় নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল। এগিয়ে রয়েছে ১৭টি আসনে।
গোয়াতে যা হয়নি তাই হতে চলছে মেঘালয়ে। এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল এই রাজ্যে তাতে এই প্রথম এই রাজ্য়ে তৃণমূল ভোটে জেতা বিধায়ক পাঠাতে পারবে বিধানসভায়। যদিও ২০২২ সাল থেকেই এরাজ্যে বিরোধী দল তৃণমূল। কিন্তু সেই সময় এই রাজ্যে কংগ্রেস ছেডে তৃণমূলে আসা বিধায়কদের ওপর ভর করেই বিরোধী দলের তকমা পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এবার সরাসরি নির্বাচনে জয়ী বিধায়ক তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এই রাজ্যে। তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্বাচনী ফলাফল।
প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মেঘালয়ে ভোটের চালচিত্রঃ
মেঘালয় নির্বাচনের ফলাফল ২০২৩- ট্রেন্ডিং অনুযায়ী- এনপিপি- ২৪, বিজেপি- ৬, কংগ্রেস ৬, তৃণমূল কংগ্রেস - ১৭ অ্যান্যান্য - ৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে
নির্বাচনী ট্রেন্ডিং অনুযায়ী তৃণমূল রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের তকমা পেতে চলেছে। কংগ্রেস বা বিজেপির মত দেশের শাসক দল ও বিরোধী দলের থেকেই বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যা কিছুটা হলেও ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচনের জন্য এগিয়ে দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
এতদিন পর্যন্ত বিজেপি বা কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্ত্বিত্ব শুধুমাত্র বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর এই অভিযোগ দূর করার জন্য একাধিক প্রয়াস করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোয়া থেকে শুরু করে মেঘালয়-ত্রিপুরা এমনকি উত্তর প্রদেশেও দলের শাখা বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। গোয়াতে সফল হয়নি তৃণমূল। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে খাতাও খুলতে পারেন। ত্রিপুরাতে সংগঠনে জোর দিলেও সেই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে বিজোপির লড়াই মূলত বামেদের সঙ্গেই। সেখানে তৃণমূলের অবস্থা রীতিমত শোচনীয়। এই অবস্থায় মেঘালয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে।
মেঘালয়ে তৃণমূল যদি বিরোধী দলের তকমাও পেতে পারে তাহলেও ঘাসফুল শিবিরের জন্য লাভ। কারণ এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে মেঘালয়ে আবারও ক্ষমতাসীন এনপিপি বিজেপির সঙ্গে জোট করেই ক্ষমতা দখল করতে পারে। এই অবস্থায় তৃণমূল যদি বিরোধী দল হয় তাহলে বিজেপি বিরোধী অবস্থা আরও স্পষ্ট করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে সরকারি বিরোধী দল বিজেপি। আর মেঘালয়ে বিজেপির বিরোধী তৃণমূল। যাতে ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর বিরোধী আরও জোরদার লড়াই করতে পারবেন।
যাইহোক মেঘালয়ে ভোটের আগে একাধিকবার সেই রাজ্য সফর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি এই রাজ্যের মত সেই রাজ্যেও লক্ষ্মূীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পগুলি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিরোধী দলে থাকলে এই রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি তিনি তুলে ধরতে পারবেন। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ তুলেও সরব হতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
Meghalaya Election: মধ্যরাতে গোপন বৈঠক হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও কনরাড সাংমার, কোন পথে মেঘালয়ের রাজনীতি
চিনকে জবাব মোদী সরকারের, অরুণাচল প্রদেশের দেশের সবথেকে উঁচু বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে ভারত