বিবিসি-র 'বিতর্কিত'তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দিল না জেএনইউ, বন্ধ করা হল বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও

বিবিসির তৈরি 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন'-এর উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Web Desk - ANB | Published : Jan 24, 2023 4:35 PM IST

গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র দেখানোয় বাধা জেএনইউ-এ। এমনকী বন্ধ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ পরিষেবাও। এমনকী এই তথ্যচিত্র দেখানোর চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের অফিসে এই তথ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল।

বিবিসির তৈরি 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন'-এর উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এই ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গুজরাতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি এই তথ্যচিত্র আজ সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেখানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারেও বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ইউটিউব ও টুইটারেও এই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় লিঙ্ক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই মনোভাবকে মোদী সরকারের 'অসহিষ্ণুতা' বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে। এবার এই তথ্যচিত্র গোটা রাজ্যে দেখানোর ব্যবস্থা করছে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে এসএফআই-এর পক্ষ থেকে। এই প্রেস বিজ্ঞপ্ততে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন'-এ ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সে দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। পাশাপাশি গৃহহীনও হতে হয়েছিল লাখ লাখ মানুষকে। সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদীর ভূমিকাই এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। মোদী সরকারের অধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ওই তথ্যচিত্রটি দেখাতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি টুইটার ও ইউটিউব থেকেও ডিলিট করা হয়েছে এই সংক্রান্ত সমস্ত লিঙ্ক। এভাবে তথ্যচিত্র দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে এসএফআই ধিক্কার জানায়।

আরও পড়ুন - 

অস্কারে ফের বাঙালি, সেরার লড়াইয়ে মনোনীত হল বঙ্গতনয় শৌনক সেনের তথ্যচিত্র 'অল দ্যাট ব্রিদস'

আফতাবের কথা আমান্য করায় শ্রদ্ধাকে খুন , ৬ হাজার পাতার চার্জশিটে দাবি পুলিশের

৩০ দিনে ২২টি ভূমিকম্প এবং গত ৪ দিনে ৫টি কম্পন, কেন বারবার কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর চত্বর, জানুন কারণ

Share this article
click me!