প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন, বিবিসি'কে ভারতে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত

ভারতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) এর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার বিবিসিত তথ্যচিত্র বিতর্কে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Web Desk - ANB | Published : Feb 10, 2023 8:24 AM IST / Updated: Feb 10 2023, 02:31 PM IST

'এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা হিসেবে উল্লেখ করে ভারতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) এর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার বিবিসিত তথ্যচিত্র বিতর্কে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসি'র তথ্যচিত্র ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরোধিতায় সরব হয় দেশের যুব সমাজ। একের পর এক প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন'। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিবিসিকে ভারতে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শুক্রবার এই আবেদন খারিজ করে আদালত।

শুক্রবার ভারতে বিবিসির নিষিদ্ধকরণের আবেদন বাতিল করল আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে বলল,'এই পিটিশন সম্পূর্ণ ভূল এবং ভিত্তিহীন।' হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তের দায়ের করা এই আবেদন ধোপে টিকল না আদালতে। আবেদনে বলা হয়েছিল,'ভারতের সার্বিক উত্থান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফলই হল এই তথ্যচিত্র।' অভিযোগে আরও বলা হয়,'২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসি'র তথ্যচিত্র শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার জন্য সম্প্রচার করা হয়েছে। এটি শুধু মোদী বিরোধী প্রচারের প্রতিফলনই নয় বরং এটি ভারতের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য বিবিসি কর্তৃক হিন্দুত্ব বিরোধী প্রচারণা।'

বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরোধিতায় সরব হয় দেশের যুব সমাজ। একের পর এক প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন'। এই তালিকায় ছিল জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রদর্শিত হয় এই তথ্যচিত্র। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখানোর পরিকল্পনা করেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর আজ সন্ধ্যা ৬ টার সময় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। কিন্তু তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চারজন পড়ুয়াকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। এসএজআই দিল্লি রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে নৃশংস বলে অভিহিত করে বলা হয়েছে,'নৃশংস উপায়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঠিক আগে চার পড়ুয়াকে আটক করা হল।' সূত্রের খবর ঘটনায় আটক ছাত্র আজিজ এবং সুখদেবকে বিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার চাঁদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। প্রসঙ্গত, গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র দেখানোয় বাধা জেএনইউ-এ। এমনকী বন্ধ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ পরিষেবাও। এমনকী এই তথ্যচিত্র দেখানোর চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের অফিসে এই তথ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল।

আরও পড়ুন - 

ভোটের আগে মুখ পোড়ালেন অশোক গেহলট , টানা ৮ মিনিট ধরে পুরনো বাজেট পড়ে গেলেন

সুপ্রিম কোর্টের শূন্যপদ পুরণ, হাইকোর্টের ২ প্রধান বিচারপতি শীর্ষ আদালতের বিচারকের দায়িত্বে

ভূমিকম্প কবলিত দুই দেশ যেন শ্মশান, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২১০০০, আহত আরও বেশি

Share this article
click me!