বেড়াতে গেলেই মিলবে করোনা ভ্যাকসিন, অবাক করা পর্যটন চালু করল মুম্বইয়ের সংস্থা

লকডাউন এবং মহামারির ভয়ে বহুদিন কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি

ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন

ভ্যাকসিন ট্যুরিজম-এ এই দুইই মিলতে পারে একসঙ্গে

তারই বন্দোবস্ত করছে মুম্বইয়ের এক পর্যটন সংস্থা

 

amartya lahiri | Published : Nov 24, 2020 10:53 AM IST

১১ ডিসেম্বর আমেরিকায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে, ভারতে টিকাকরণ আগামী বছরের গোড়ার আগে শুরু হচ্ছে না। আবার, এই ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রয়োজনীয় পরিষেবা কর্মী এবং কোমর্ডিবিডিটি থাকা ব্যক্তিদের। কাজেই খুব তাড়াতাড়ির মধ্যে টিকা পাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু, কেউ যদি গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে সকলের আগে টিকা পেতে চান, তার ব্যবস্থাও আছে। সঙ্গে একটু করোনার জড়তা ভেঙে বেড়িয়েও আসা যাবে। 'ভ্যাকসিন ট্যুরিজম'-এর মাধ্যমে এরকমই সুযোগ দিচ্ছে মুম্বইয়ের এক পর্যটন সংস্থা।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারা জানিয়েছে, চার দিনের ট্যুর প্যাকেজে খরচ পড়বে মাথাপিছু ১.৭৫ লক্ষ টাকা। নয়াদিল্লি থেকে বিমানে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হবে। তিন রাত রাখা হবে হোটেলে। সুঁচের খোঁচায় শরীরে ঢুকবে ভ্য়াকসিন। তারপর আবার ফিরিয়ে আনা হবে নয়া দিল্লিতে। শুল্কসহ বিমান ও হোটেল ভাড়া ধরা থাকছে প্যাকেজে।

আরও পড়ুন - গোটা ভারতের টিকাকরণে লাগবে ৩ বছর, সুস্বাস্থ্যের অধিকারীদের কপাল সবথেকে খারাপ

আরও পড়ুন - ৭ দিন পর ফের ৪০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ ৮ মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি মোদী

আরও পড়ুন - অকাট্ট প্রমাণ দিলেন চিনা বাদুড় মানবী, উহানের ল্যাব থেকে ছড়ায়নি নভেল করোনাভাইরাস

হোয়াটসঅ্যাপে সংস্থাটি একটি টিজার বার্তা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বিক্রির জন্য ফাইজার সংস্থা অনুমতি পেলেই এই ট্যুর শুরু করা হবে। তার জন্য এখন থেকেই নাম নথিভুক্ত করা হবে। তবে সংস্থা নিজেরা কোনও ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে না। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন যদি অন্য দেশের নাগরিকদের টিকা বিক্রির অনুমতি না দেয়, তাহলে ট্যুরটি বাতিল করা হবে। তাই এখনই কোনও অগ্রিম নেওয়া হচ্ছে না। শুধু নাম, ইমেল, ফোন নম্বর, বয়স, শারীরিক জটিলতার বিবরণ এবং পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।

মার্কিন ফার্মা সংস্থা ফাইজার-এর পাশাপাশি মডার্না-র তৈরি ভ্যাকসিনের পরীক্ষার কাজও প্রায় শেষ। দুই সংস্থাই তাদের ভ্যাকসিন কার্যকর বলে দাবি করেছে। তবে, শেষ পর্যন্ত যদি এই পর্যটন হবে কিনা তা ভবিষ্যত বলবে। তবে এই ভাবনাটা এক বিপজ্জনক প্রবণতার ইঙ্গিতবাহী, বলে মনে করছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, ভাইরাসটি দরিদ্র-ধনিতে কোনও ভেদাভেদ করেনি, কিন্তু ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই সেই ভেদাভেদ শুরু করে দিয়েছে।

 

Share this article
click me!