সুপ্রিম কোর্ট থেকে রাষ্ট্রপতি কারোর কাছে আবেদন করেই লাভ হয়নি
নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি আটকাতে নতুন রাস্তা নিল অপরাধীরা
সরাসরি আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে আবেদন করল তিন আসামি
অপর আসামি মুকেশ-এর আবেদন অবশ্য খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত
সোমবার, নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্য়ে তিনজন, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত বা আইসিজে-তে আবেদন করলেন। এই তিন আসামি হল অক্ষয়, পবন এবং বিনয়। অপর আসামি মুকেশ, তার আইনজীবী তাকে ভুল বুঝিয়েছিলেন দাবি করে আইনি প্রতিকার ব্যবস্থা নতুন করে শুরু করার আবেদন করেছিল, এদিন সুপ্রিমকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন - নির্ভয়াকাণ্ডের আসামিরাও কি কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তিহার-এ নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা
২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় চার আসামির ফাঁসি হওয়ার কথা। এদিন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ১৭ মার্চই ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ তিহার জেল পৌঁছে যাবেন। আর ২০ মার্চের আগেই জেল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফাঁসির মহড়া দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন - বন্ধ সব সেক্স ক্লাব, 'করোনা-আতঙ্কে' লম্বা লাইন গাঁজা-চরসের দোকানের বাইরে
এর আগে কখনও কিউরেটিভ প্লি, কখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়ে, তিন-তিনবার ফাঁসি কার্যকর হওয়া পিছিয়ে দিয়েছে অপরাধীরা। রবিবার তারা রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনও জানিয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির সাড়া মেলার আগেই এদিন তারা আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতে ফাঁসি স্থগিতের আবেদন করল।
আরও পড়ুন - আইসোলেশন ওয়ার্ড আদতে কি জেলখানা, বিচ্ছিন্ন জীবন নিয়ে মুখ খুললেন করোনা-জয়ী
এদিন অবশ্য অপর আসামি মুকেশ-এর আবেদন ফের খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি এমআর শাহ-এর একটি বেঞ্চ। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, এর আগে রিভিউ পিটিশন এবং কিউরেটিভ পিটিশন দুইই খারিজ করা হয়েছে। তাই তার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন - ভিডিওতেই দেখতে হল বাবার শেষকৃত্য, এখন মনে-প্রাণে চাইছেন যেন করোনা ধরা পড়ে
মুকেশ সিং দাবি করেছিল, তার আগের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার তাকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তাই যেদিন শীর্ষ আদালত তার কিউরেটিভ পিটিশন-এর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, সেইদিন থেকে আদালতের সব আদেশ বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। তার পক্ষে আইনজীবী এমএল শর্মা, কেন্দ্র, দিল্লি সরকার এবং এই মামলার অ্যামিকাস কিউরি আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার-এর বিরুদ্ধে 'অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র' এবং 'জালিয়াতি'র সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলেন।