পদ্ম ছেড়ে 'হাত' ধরছেন নীতিশ, বিহারের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়ে সনিয়াকে ফোন জেডিইউর

দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। যদিও আলোচনায় কী ঘটেছে তা জানা যায়নি এবং দুই দলের নেতারাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জানা গিয়েছে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে নীতিশ সনিয়ার। 

দুদিন ধরে উত্তপ্ত বিহারের রাজনীতি। বিজেপি এবং জেডিইউর টানাপোড়েনে টালমাটাল পরিস্থিতি প্রতিবেশী রাজ্যে। এদিকে, বিহারের রাজনীতির অন্দরমহলের খবর যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রবিবার ফোনে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই যেন জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে ফাটল আরও দীর্ঘ হয়েছে। 

সূত্রের বিশ্বাস, দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। যদিও আলোচনায় কী ঘটেছে তা জানা যায়নি এবং দুই দলের নেতারাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জানা গিয়েছে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে নীতিশ সনিয়ার। 

Latest Videos

এদিকে, RJD এবং JD(U) উভয়ই মঙ্গলবার তাদের দলের বৈঠক ডেকেছে, যা পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিহারের রাজনীতিতে কিছু বড় পালাবদলের ইঙ্গিত দেয়। এই মুহূর্তে কোন ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে বিহারে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তীব্রতর হয়েছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং জেডিইউ উভয় দলই এর আগে বিহারে একসঙ্গে কাজ করেছে। 

নীতি আয়োগের বৈঠেক হাত জোড় করে সৌজন্য মমতা-মোদীর, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও আলোচনা

বৈঠকে বসতে চলেছে জেডিইউ ও আরজেডি

উল্লেখযোগ্যভাবে, ৩১ এবং ৩১ জুলাই পাটনায় বিজেপির সাতটি ফ্রন্টের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বৈঠকের পরেও বিজেপি এবং জেডিইউ থেকে অনেক বিবৃতি এসেছে। বিজেপি বলেছিল যে তাদের ২০০টি আসনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। এদিকে জেডিইউর জাতীয় সভাপতি লালন সিং বলেন, কেন ২০০টি আসনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা, ২৪৩ আসনের জন্যই তৈরি হন। তিনি আরও বলেছিলেন যে আমরাও ২৪৩ আসনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেখান থেকেই ছবিটা অনেক স্পষ্ট হয়ে যায়। 

সমস্ত JDU বিধায়ক এবং MLCদের মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাবড়ির বাড়িতে আরজেডির তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এতেও দলের সব বিধায়ককে ডাকা হয়েছে।

কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদ ২০২৪এর জন্য মোটেও শুভ ইঙ্গিত নয়, বললেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিজেপির জোট ভেঙে লালু প্রসাদের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। লালুর দলের আসন বেশি থাকলেও ‘পুরনো বন্ধু’ নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন লালু। সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে জুড়েছিলেন নিজের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে। সেই সরকারের আড়াই বছরের মাথায় ফের বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীও হন। তখনই নীতীশকে বিশ্বাসঘাতক বলে দেগেছিলেন আরজেডি নেতারা। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটের ফলে দেখা যায়, দলের বিপুল সংখ্যক আসন হারিয়ে সংখ্যার বিচারে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছেন নীতীশ! প্রশ্ন উঠছে, আগের বারের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আরজেডি কি হাত মেলাবে নীতীশের সঙ্গে?

এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় সবচেয়ে বড় দল লালুর আরজেডি। যার নেতা তেজস্বী যাদব। আসন সংখ্যার হিসেব ধরলে লালু-নীতীশ ও কংগ্রেস একজোট হল অনায়াসেই গড়া যাবে সরকার। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে হিন্দি বলয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দলকে। 

বিহারে কি সংকটে নীতিশ সরকার? JDU-BJP দ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
‘West Bengal-এ জঙ্গিদের সরকারের মুখোশ Mamata Banerjee’ Suvendu Adhikari-র ঝাঁঝালো তোপ মমতাকে
ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছিল? আসল কারন ফাঁস করলেন Suvendu Adhikari, শুনলে চমকে উঠবেন