কান্নায় ভেঙে পড়লেন আশা দেবী, এই বছরও ফাঁসি হচ্ছে না নির্ভয়া-আসামীদের

  • কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী
  • সুপ্রিম কোর্টে নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীর  প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে
  • তারপরেও এদিন দিল্লির পাতিয়ালা কোর্ট ফাঁসির পরোয়ানা জারি করল না
  • আদালত তিহার জেলকে নতুন করে নোটিশ দিতে বলল

 

amartya lahiri | Published : Dec 18, 2019 10:30 AM IST / Updated: Dec 18 2019, 04:04 PM IST

দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। কিন্তু তারপরেও বুধবার ২০১২ সালের নারকীয় দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যা কাণ্ডের চার অভিযুক্তের ফাঁসির পরোয়ানা জারি করল না আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট অন্যতম আসামি অক্ষয় কুমার সিং-এর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ফাঁসি কার্যকর করার আগে আরও একবার ক্ষমাপ্রার্থনার সুযোগ দেওয়া হবে অপরাধীদের।

এদিন, দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে ২০১২ সালে দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্ভয়ার মা-বাবার আসামীদের তাত্ক্ষণিকভাবে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন করেন। সরকার পক্ষের উকিল যুক্তি দেন, দণ্ডিতরা ক্ষমা প্রার্থনা দায়ের করতে চাইলেও তাতে আদালতের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করতে আইনে আটকায় না।

আরও পড়ুন - 'এমন অপরাধে ভগবানও কেঁদে ওঠেন', মৃত্যুদণ্ড বহাল নির্ভয়ার ধর্ষকের

কিন্তু, আদালতের পক্ষ থেকে এদিন সেই পরোয়ানা জারি না করে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে আসামীদের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন দায়ের করার জন্য এক সপ্তাহের সময় দিয়ে নতুন নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পক্ষ থেরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ জানানো হয়েছে ৭ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন - নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসিতেই ভাঙবে দাদুর রেকর্ড, গর্বিত পবন জল্লাদ

আদালতের এই রায়ের পরই আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আশা দেবী।  পাতিয়ালার হাউস কোর্টের বিচারক তাঁকে বলেন, আশাদেবীর প্রতি আদালতের সম্পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। তাঁর প্রিয়জন মারা গিয়েছেন। তবে দোষীদেরও অধিকার রয়েছে। আশাদেবীর কথা শুনে আদালত অবিলম্বে ফাঁসির পরোয়ানা জারি করতে পারত কিন্তু, আদালতকে আইন মেনে চলতে হয়। তাদের হাত-পা বাঁধা।

আরও পড়ুন - আমি ফাঁসি দিতে চাই নির্ভয়ার দোষীদের, অমিত শাহকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন আন্তর্জাতিক শ্যুটার

এদিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর অক্ষয়কুমার সিং-এর আইনজীবী জানান এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবে তাঁর ক্লায়েন্ট। এরজন্য তিন সপ্তাহ সময় চান তিনি। তবে সলিসিটর জেনারেল তা মানতে চাননি। তিনি জানান, আদালত রায় দেওয়ার পর প্রাণভিক্ষার জন্য অপরাধীদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। আদালতও জানিয়েছে তার বেশি সময় পাবেন না অক্ষয়কুমার।

আরও পডড়ুন - নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে চান, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি মহিষাদলের যুবক

২০১৩সালে নির্ভয়া কাণ্ডের চার জীবিত অপরাধী মুকেশ, অক্ষয়, পবন ও বিনয়কে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। যা চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল তারা। ২০১৭ সালে সেই রায়ই বহাল রাখে হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন চার অপরাধীর একজন অক্ষয় কুমার সিং।

 

Share this article
click me!