সুপ্রিমকোর্ট খারিজ করল পবনের আবেদন, রাত পোহালেই নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি নিয়ে এখনও ধন্দ

  • মঙ্গলবার ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার ধর্ষকদের
  • ফাঁসির আগের দিন কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ
  • পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
  • বাকি ৩ জনের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই  খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি

Asianet News Bangla | Published : Mar 2, 2020 7:15 AM IST / Updated: Mar 02 2020, 12:48 PM IST

দিল্লির আদালতের নির্দেশে ৩ মার্চ সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার চার ধর্ষকের। এদিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করে তা যাবজ্জীবন কারাবাসে পরিণত করতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন এই কাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিত পবন। তবে ফাঁসির ঠিক একদিন আগে সোমবার বঠর পঁচিশের পবন গুপ্তর মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। 

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল পবন।  দাবি ছিল, ২০১২ সালে ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২ মাস। জুভেনাইল আইন অনুযায়ী তার বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। সেই সুক্তিতে পবনের সাজা কমানোর আর্জিন জানান তার আইনজীবী। শীর্ষ আদালত এদিন তা খারিজ করলেও এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারে সে। 

 

 

যদিও মঙ্গলবার নির্ভায়র চার অপরাধীর ফাঁসি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এখনও বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ক্ষমার আর্জি খারিজ করে দিলেও গত শনিবার ফের একই আবেদন জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয় ঠাকুর। তার দাবি, আগের আবদনে সব তথ্য ছিল না। 

আরও পড়ুন: শুরু হল দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন, প্রথম দিনেই দিল্লি নিয়ে ধর্নায় কংগ্রেস-তৃণমূল-আপ

মামলার বাকি তিন আসামি মুকেশ সিংহ, বিনয় কুমার ও অক্ষয় ঠাকুরের প্রাণক্ষিক্ষার আর্জি আগেই খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই মুহুর্তে রাষ্ট্রপতি কাছে আবেদন জানানোর সেই সুযোগ রয়েছে কেবল পবন গুপ্তার কাছে। 

আরও পড়ুন: দলজিতের সঙ্গে তাজ দর্শন থেকে সাইকেলে চড়ে ভ্রমণ, ভারতীয়দের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ ইভাঙ্কা

এদিকে নির্ভয়াকাণ্ডের আরও এক মামলার শুনানি রয়েছে ৫ মার্চ। জানা গিয়েছে, নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়ার পরই কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল, দোষীদের আলাদা আলাদা ভাবে ফাঁসি কাঠে ঝোলানোর জন্য। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওর পর শীর্ষআদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। সেই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ৫ মার্চ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, শুনানি ৫ মার্চ হলে ৩ মার্চ  ফাঁসি হবে কী করে?

Share this article
click me!