করোনার সঙ্গেই এবার করতে হবে সংসার, লকডাউনে থাকা রাজধানীকে সচল করতে দাওয়াই কেজরির

 

  • করোনার সঙ্গে বসবাসে প্রস্তুত হোন
  • করোনা নিয়েই এবার চলতে হবে
  • সাফ জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
  • দিল্লিতে লকডাউন তুলে নিতে চান কেজরি

Asianet News Bangla | Published : May 4, 2020 8:18 AM IST / Updated: May 04 2020, 02:02 PM IST

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৪,১২২ জন। এঁদের মধ্যে ১২৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৬৪ জন। এহেন দিল্লিতে এবার লকডাউন তুলে নেওয়ার পথে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এতদিন লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। দেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে মেয়াদ বাড়ানোর জন্যও অনুরোধও করেন কেজরি। কিন্তু ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গলায় একেবারে অন্যসুর। সাংবাদিক সম্মেলন কেজরি বলেন,  “দিল্লি সরকার লকডাউন তুলতে তৈরি। বাকিটা আমাদের করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি এলাকায় লকডাউন শিথিল করা হবে।” কিছু পরিষেবা ও কল-কারাখানা খোলা হবে বলে জানিয়েছেন কেজরি। তবে সেইসঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

লকডাউনের দেশে রেশনের থেকেও লম্বা লাইল মদের দোকানে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই জমায়েত

কেন্দ্রকে চাপে ফেলে বড় ঘোষণা সনিয়ার, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার খরচ দেবে কংগ্রেস

বিশ্বের দরবারে মোদীর ভাষণ, হাইড্রোক্লিক্লোরোকুইনের পর জানাবেন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল

কেজরিওয়াল বলেন, “হাসপাতাল ও টেস্টিং কিটের হিসেবে আমরা তৈরি আছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি সব কন্টেইনমেন্ট এলাকাগুলি সিল করা থাক। বাকি এলাকাগুলিকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হোক। জোড়-বিজোড় নীতিতে দোকান খোলা যেতে পারে। এমনকি লকডাউন পুরো তুলে নেওয়ার পরেও যদি কিছু সংক্রমণ হয়, তা ভালভাবে সামলাতে আমরা তৈরি।”

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউন উঠলেও গণ পরিবহণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রাইভেট দু’চাকা, চারচাকার গাড়ি চলতে পারে। দু’চাকার গাড়িতে একজন ও চারচাকার গাড়িতে দু’জনের বেশি থাকবেন না। বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে। তবে ৩৩ শতাংশের বেশি কর্মচারী যেন একসঙ্গে না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই বেসরকারি অফিসের মধ্যে আইটি সেক্টর ও ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেও হিসেব করা হয়েছে।

বিয়ে বা শ্রাদ্ধের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানেও ছাড় দিয়েছে দিল্লি সরকার। কিন্তু বিয়েতে ৫০ জনের বেশি ও শ্রাদ্ধে ২০ জনের বেশি ব্যক্তি যেন উপস্থিত না থাকেন তার নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, লকডাউন উঠলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

কেজির মনে করছেন করোনাভাইরাস কোথাও যাওয়ার নয়, মানুষকে এটা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। আর তার জন্য আগাম প্রস্তুতি প্রয়োজন। তাঁর কথায়, 'এই মূহুর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শূন্য হওয়া অসম্ভব। ভাইরাস যে কোথাও যাচ্ছে না তা মেনে নিতে হবে। তাই মানুষকে করোনাভাইরাস নিয়ে বেঁচে থাকার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই কারণেই েখন সময় দিল্লিকে ফের খুলে দেওয়ার।' 

কেজরির সাফ জানিয়েছেন, দিল্লিতে লকডাউন তুলে নিতে তিনি প্রস্তুত। লকডাউনের ফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা যে অনকেটাই ধাক্কা খেয়েছে তা খোলাখুলি জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো।  তিনি বলেন, “আমরা লকডাউন আর চালিয়ে যেতে পারব না। কারণ অর্থনীতি বিশাল ধাক্কা খেয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে রাজ্যের রাজস্ব বাবদ আয় ছিল ৩৫০০ কোটি টাকা। সেটা চলতি বছর এপ্রিল মাসে হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। ”


 

Share this article
click me!