উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন ২০২২-এ (Uttar Pradesh Elections 2022) বিজেপির (BJP) পুরো ফোকাস কেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই (West Uttar Pradesh)? জানেন কি এখানকার মুসলিম-জাট ভোটব্যাঙ্কের (Muslim-Jat Vote Bank) সমীকরণ?
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন ২০২২-এর (Uttar Pradesh Elections 2022) ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৭ দফায়। এর মধ্যে প্রথম দুই দফাতেই নির্বাচন হবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে (West Uttar Pradesh)। তাই এই মুহূর্তে এখানকার রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত। বিজেপির (BJP) পুরো ফোকাস এখন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই। দলের বেশিরভাগ বড় নেতাকেই এখন দেখা যাচ্ছে এখানে প্রচার করতে। মথুরায় অমিত শাহ (Amit Shah), বিজনোরে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এবং গাজিয়াবাদে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সভা করছেন। অথচ, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ - তিন নির্বাচনেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছিল বিজেপিকে। তাহলে কেন বিজেপি নেতাদের এত সময় দিতে হচ্ছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে? কেন চলছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়মিত সফর?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছেন, ২০২২ সালের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। আগের তিনবারের থেকে, এবারের পরিস্থিতিটা অনেকটাই আলাদা। এর পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, উত্তরপ্রদেশের এই অংশেই কৃষক আন্দোলনের (Farmers Movement) প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছিল। যে ঘটনার কারণে, পুরো পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই বিজেপির খুবই ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটাররাও বলছেন, কৃষকদের আন্দোলনের জেরেই এবার বিজেপির জয়ের রাস্তা সহজ হবে না।
আরও পড়ুন - UP Elections 2022: বুলন্দশহরে সর্বকনিষ্ট প্রার্থী ২৫ বছরের পুনম, সবথেকে ধনী লালুর জামাই
আরও পড়ুন - UP Polls 2022: বিজেপিতে যোগ দিলেন গান্ধী পবিবার-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
আরও পড়ুন - UP Elections 2022: দেশের নয়, নিজের স্বার্থই বড় - প্রমাণ করলেন এই 'বিদ্রোহী' নেতারা
সেই সঙ্গে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ও জাট ভোটব্যাঙ্কের (Muslim-Jat Vote Bank) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বস্তুত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কথা বললে, জাট এবং মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা বলতেই হবে। এই এলাকায় দুই সম্প্রদায়েরই জনসংখ্যা বেশি - মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলমান এবং ১৭ শতাংশ জাট। এই দুই ভোটব্যাঙ্ক যে দল দখল করতে পারবে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না। এবার সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের (RLD) জোট তাদের পাখির চোখ করেছে এই জাট-মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককেই। এই দুই ভোটব্যাঙ্ক জোটের পক্ষে আনার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তারা। আর তা আটকাতে বিজেপিও জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
গোটা উত্তরপ্রদেশেই ভোটে বড় ভূমিকা নেয় মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ের। ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৪৩টি আসন রয়েছে, যেগুলিতে মুসলিম ভোটের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। ১০৭টি আসনে, জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় মুসলিম ভোটের মাধ্যমে। আর, ৭০টি আসনে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এখানকার জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি মুসলিম।