প্রায় দশ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে অপহৃত ২৩টি শিশুকে উদ্ধার করে কমান্ডো বাহিনী। গুলি করে হত্যা করা হয় অপরহণকারী সুভাষ বথামকে। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অপহরণকারীর স্ত্রীও। এদিন পণবন্দি শিশুরা মুক্তি পেতেই সুভাষের স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। চলে গণপিটুনি। অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।
আরও পড়ুন: গুলিচালানোর আগে লাইভ স্ট্রিম, জামিয়াকাণ্ডে বন্ধ হল অভিযুক্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শিশুদের অপহরণকারী সুভাষ বথামের। পুলিশ তার দেহ বের করে নিয়ে যেতেই স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বার করে চলতে থাকে গণপিটুনি। ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথরও ছোঁড়ে বেশ কয়েকজন। তাতেই গুরুতর জখম হন তিনি। পুলিশ তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তিও করে। কিন্তু শুক্রবার সকালেই মৃত্যু হয় তার।
বৃহস্পতিবার শিশু অপহরণের ঘটনায় সুভাষ বথামের স্ত্রীর কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। যদিও সুভাষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ছিল। তবে ঘটনার সময় জামিনে মুক্ত ছিল সে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ২০টি শিশু ও কয়েকজন মহিলাকে আমন্ত্রণ করেছিল সুভাষ। অতিথিরা যেতেই তাদের পণবন্দি করে সে।
অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করতে রাতেই ফারুকাবাদের ঘটনাস্থলে আসা বিশেষ কমান্ডো বাহিনী। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেলে সাফল্য। ২৩ জন পণবন্দি শিশুকে উদ্ধার করে জওয়ানরা। যাদের মধ্যে একজনের বয়স এক বছর। গুলিতে মৃত্যু হয় অপহরণকারী সুভাষ বথামের।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের পুলিশের উপর হামলা, পাল্টা গুলিতে মৃত্যু ৩ জঙ্গির
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ২০০১ সালে একটি খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সুভাষ। এলাকায় হিংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য দুর্নাম ছিল তার। মেয়ের এক বছরের জন্মদিনেই গ্রামের শিশুদের সে অপরহণের পরিকল্পনা করেছিল।