মুহূর্মুহু রকেট হানায় জ্বলছে গাজা, ২০১৪-র পর ফের ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের আশঙ্কা

ফের উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য

ইসরাইল এবং হামাস গোষ্ঠীর মধ্য়ে তীব্র রকেট বিনিময়

গাজায় হত ৩৫, ইসরাইলে ৫

২০১৪-র পর ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের কালো মেঘ

Asianet News Bangla | Published : May 12, 2021 4:24 AM IST / Updated: May 12 2021, 06:54 PM IST

ফের উত্তপ্ত ইসরাইল-প্যালেস্তাইন। রাতারাতি বাড়ল উত্তেজনা। ইসরাইল এবং প্যালেস্তাইন পন্থী হামাস গোষ্ঠীর মধ্য়ে বুধবার ভোরে চলল তীব্র রকেট বিনিময়। যার ফলে প্রাণ গেল গাজা স্ট্রিপের অন্তত ৩৫ জনের  এবং ইসরাইলের অন্তত পাঁচজনের। ২০১৪ সালের গাজায় ইসরাইল সরকার ও হামাস গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধের পর, দুই পক্ষের মধ্যে এত তীব্র সংঘর্ষ আর দেখা যায়নি, এমনটাই বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল।

জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে গাজায় একটানা রকেট আক্রমণ চালায় ইসরাইল। এরফলে গাজার একটি ১৩ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন ধসে যায়। আরেকটি আবাসিক বহুতলও ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইসরাইলের দাবি, হামলা চালানোর আগে তারা বারবার সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল। তাদের দাবি, গাজায় হামাস গোষ্ঠীর বিভিন্ন ভবনেই হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসলামি গোষ্ঠীটির গোয়েন্দা কেন্দ্র, রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের মতো এলাকা।

রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড টুইট করে বলেছেন: অবিলম্বে এই আগুন না নিভলে ফের যুদ্ধ শুরু হবে গাজায়। দুই পক্ষের নেতাদেরই উত্তেজনা কমানোর দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ হলে তার ফল হবে ধ্বংসাত্মক, সাধারণ মানুষকেই তার মূল্য চোকাতে হবে। রাষ্ট্রসংঘ শান্তি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। এখনই হিংসা বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন - শেষ হল না স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কল, হামাস-এর রকেট হানায় মৃত্যু ভারতীয় যুবতীর

আরও পড়ুন - কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে কেন বেশি আক্রান্ত যুবরা, ২টি কারণ দিলেন ICMR প্রধান

আরও পড়ুন - ১ মাসে ১০ হাজার থেকে ৩.২৫ লক্ষ শিশি, কোন জাদুতে 'রেমডেসিভির সংকট' কাটালো ভারত

কিন্তু,কীভাবে শুরু হল এই হিংসা? জানা গিয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছিল জেরুজালেমে। রমজান মাসে আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে এই উত্তেজনার সূচনা হয়। শহরের প্রধানত আরব অধ্যুষিত এলাকায় গত এক মাস ধরেই প্যালেস্তাইনপন্থী ও ইসরাইলি পুলিশদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এরপর, গাজা থেকে জেরুজালেম লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল হামাস গোষ্ঠী। এই ঘটনার পরই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, 'লাল রেখা' পার করেছে। যদিও, হাসাম বলেছিল, আল-আকসা মসজিদকে ইসরাইলি 'আগ্রাসন ও সন্ত্রাস'এর হাত থেকে রক্ষার জন্যই তারা রকেট হামলা চালিয়েছে। সেখান থেকেই বুধবার ভোরে তীব্র হানাহানির শুরু হয়।

 

Share this article
click me!