আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে এই বিস্ফোরণ হয়ে। তালিবানদের গাড়িকেই নিশানা করা হয়েছিল। নানগারহারের এক শীর্ষ স্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশেই বিস্ফোরণ হয়।
তালিবান শাসনেরও পরেও বারুদের গন্ধ গেল না আফগানিস্তান থেকে। পরপর তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের জালালাবাদ। এই ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০। সূত্রের খবর বিস্ফোরণের দুই তালিবান নেতারও মৃত্যু হয়েছে। তালিবানদের লক্ষ্য করে এই গামলা চালাল হয়েছে বলেও দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে এই বিস্ফোরণ হয়ে। তালিবানদের গাড়িকেই নিশানা করা হয়েছিল। নানগারহারের এক শীর্ষ স্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশেই বিস্ফোরণ হয়। তালিবানদের গাড়ি লক্ষ্য করেই বিস্ফোরণ হয়। রেঞ্জার আঘাত পেয়েছে বলেও দানান হয়েছে। সূত্রের খবর নিহতের মধ্যে দু তালিবান কর্মকর্তা রয়েছে। অন্যদিকে যারা আহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ।
আলৌকিক ঘটনা, পরিবারের ৫ মৃত সদস্যের সঙ্গে একই ঘরে তিন দিন বেঁচে ২ বছরের শিশু
উরি হামলার ৫ বছর পার, বদলার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক তছনছ করেছিল জঙ্গি ক্যাম্প
অন্যদিকে শনিবার কাবুলে একটি স্টিকি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে দুজন আহত হয়েছে। তবে বোমাটি কাকে বা কাদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে জালালাবাদের বিস্ফোরণে মূল লক্ষ্যই ছিল তালিবানরা। জালালাবাদের হামলার দায় অস্বীকার করেনি কোনও পক্ষ।
কাবুল থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে জালালাবাদ। এটি আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। কিন্তু এই হামলা আবারও প্রশ্ন তুলে দিল আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে। যা তালিবানদের রাজত্বেও নিশ্চিত নয়। তারণ ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে তালিবান আর ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিবাদ। পাশাপাশি প্রকাশ্যে এসেছে তালিবানদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কেরও দূরত্ব বাড়ছে বলে। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে তালিবান ও হাক্কানি গোষ্ঠী রীতিমত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে তালিবান রাজত্বেও আফগানিস্থানে রীতিমত সক্রিয় রয়েছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন। যা ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বের।