ভারত ও ব্রিটেনের মধ্য়ে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে IGF-র ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বলেন দুই দেশের অংশীদারিত্ব বিশ্বের কাছে যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।
ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দুই দেশের অংশীদারিত্ব বিশ্বের কাছে যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য। এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্য - ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামের সূচনা অনুষ্ঠান ইউকে-ইন্ডিয়া উইক ২০২৩ এর আগেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, 'এটি আমাদের সময়ের জন্য একটি সঞ্জায়িত ঘটনা' ।
ভারত ও ব্রিটেনের মধ্য়ে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে IGF-র ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কিনি বলেন, 'ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামের বার্ষিক ইউকে-ইন্ডিয়া সপ্তাহ আমাদের দুই মহান দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্যালেন্ডারের একটি অত্যন্ত প্রত্যাশিত বিষয়। এটি নতুম বাণিজ্য সম্পর্ক, দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা, আমাদের জনগণের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। '
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মনোজ লাডওয়া হলেছেন, 'বিশ্বজুড়ে ভূ-রজনৈতিক উত্থান ও অর্থনৈকিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিশ্বাস করি যে যুক্তরাজ্য ও ভারত ঘনিষ্ট হওয়া আগের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ' দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের কথাও তিনি স্বীকার করে নেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভাল রাখতে IGF গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ঋষি সুনাকের কাছেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।
২০২২ সালে IGFএর UK - India পুরষ্কারের বক্তৃতার সময় তৎকালীন চ্যান্সেলর হিসেবে ঋষি সুনাক দুই দেশের সমান অংশীদারীত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন 'ভারত অতীতের দিকে তাকাচ্ছে না। তাই আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে কারণ ব্রিটেনকে দ্রুত বর্ধনশীল ও সবথেকে গতিশীল অর্থনীতিক দেশের সঙ্গে এক টেবিলে বসার অধিকার অর্জন করতে হবে।।'
দুই সরকারই ২০৩০ সালের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। চলমান মুক্ত ব্যাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। হিরোশিমায় সাম্প্রতিক G-7 শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি, ঋষি সুনাক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যালোচনা করেছেন এবং FTA আলোচনার অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন সুনাক।
লেবার পার্টির নেতা, স্যার কিয়ার স্টারমার, এই অনুষ্ঠানে যোগদান করার আগেই বলেছেন, তিনি এই গ্লোবাল ফোরামে অংশ নেওয়ার জন্য আধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির শক্তিশালী ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আকও বলেন, 'এখন সময় এসেছে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, জলবায়ু কর্ম, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি, এবং স্বাস্থ্যসেবা, কাজের ভবিষ্যত, দক্ষতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কীভাবে আমরা আমাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর ও প্রসারিত করতে পারি তা নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে। এবং শিক্ষা - এমন সমস্ত ক্ষেত্র যেখানে আমি পারস্পরিক সুবিধার বিশাল সুযোগ দেখতে পাচ্ছি।'
আরও পড়ুনঃ
Modi In USA: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদকে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রবাসী ভারতীয়দের, দেখুন ভিডিও
বীরভূমে 'বায়রন মডেল', বিজেপির টিকিটে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জিতেই তৃণমূলে গেলেন প্রার্থী