এবার কি তবে এভারেস্টেও পাঁচিল দেবে চিন? অনেকটা তেমনই জানিয়েছে চিনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে নেপালের পাহাড়ে ওপর পর্বত আরোহনকারীদের থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রভূত আশঙ্কা রয়েছে। আর মহামারির সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মাউন্ট এভারেস্টের ওপর একটি বিচ্ছেদ লাইন আঁকার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে চিনা প্রশাসন। সরকারি সংবাদসংস্থা সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে পর্বতারোহীরা চিনের পক্ষ থেকে শীর্ষে পোঁছানোর চেষ্টা করার আগেই তিব্বতের পর্বতারোহনকারী গাইডের একটি বিশেষ দল শীর্ষ পৌঁছে যাবে। তারাও বর্ডর লাইনটি স্থাপন করবেন।
বিচ্ছেদ লাইনটি কী ভাবে তৈরি করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে চিন থেতে পাহাড়ারে উত্তর দিকে অরোহণকারীদের লাইন অতিক্রম করারর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। অথবা নেপালের দিকের কোনও বস্তুর সংস্পর্শে যেতেও মানা করা হতে পারে। তবে নেপাল সরকার এখনও পর্যন্ত চিনের ওই বর্ডার লাইন পরিকল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
যোগী রাজ্যে কোভিড বিধি ভেঙে মুসলিম ধর্মগুরুর শেষকৃত্য, করোনা-সুপারস্প্রেডার হওয়ার আশঙ্কা ...
চিন নেপাল- উভয় দেশই গতবছর করোনাভইরাসের মহামারির কারণে এভারেস্টসহ একাধিক পর্বতারোহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু এবার আর নেপাল সেই রাস্তায় হাঁটেনি। কারণে নেপালের অর্থনীতির একটি বড় অংশই পর্যটন শিল্প থেকে আসে। চলতি বছর নেপাল প্রায় ৪০৮ জন বিদেশী পর্বতারোহনের অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে চিন মাত্র ৩৮ জনকে অনুমতি দিয়েছে। সিনহুয়ার দাবি ২১ জনই চিনা। ১৭ জন পর্বতারোহীর একটি দল উত্তরাঞ্চল দিয়ে আরোহনের অনুমতি পেয়েছে।
চিন এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর দেশের অভ্যন্তরে সংক্রমণ রুখতে এখনও পর্যন্ত অনেকটাই সফল সি জিংপিং প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত দেশটির অধিকাংশ শহর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লকডাউনের আওতায় রয়েছে। বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ও অন্তর্তদেশীয় বিমান পরিষেবাও। তবে এভারেস্টে বর্ডার লাইন তৈরির বিষয় নিয়ে প্রাশাসনিক কর্তারা এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। মুখ বন্ধ রেখেছে নেপালও।
কয়েক দশক ধরে পর্বতারোহী গাইড হিসেবে এভারেস্ট চড়ার রেকর্ড করেছেন শেরিং শেরপা। তিনি অবশ্য বলেছেন মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষ দেশে কোনও ভাবেই বর্ডার লাইন বা বিচ্ছেদ লাইন আঁকা সম্ভব নয়। শীর্ষ দেশের একমাত্র পয়েন্ট যেখানে সামিট হয় সেখানে সরব পর্বতারোহী একে অপরের কাছাকাছি আসেন, আসতে বাধ্য হন। কারণ সেই স্থানটি অত্যন্ত ছোট। কয়েক মিনিটের জন্য সেই স্থানে সকলেই যান। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে দেখেন চার পাশে অপূর্ব শোভা। তিনি আরও বলেছেন পর্বতারোহীরা যে পোশাক, অক্সিজেন মাস্ক, চশমা ব্যবহার করেন তা করোনাভাইরাসের সংক্রনণ রুখে দিতে সক্ষম। তিনি আরও বলেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনও ব্যক্তি যে এভারেষ্টের শীর্ষ পৌঁছাতে এটা প্রায় অসম্ভব। কারণ এমনিতেই করোনা আক্রান্তরা শ্বাস কষ্টে ভোগেন। সেই কারণে ওই উচ্চতায় অক্সিজেন কম থাকায় তাঁদের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন শেরিং শেরপা।